Lifestyle News

বর্ষায় এই ৪ ন্যাচারাল অ্যান্টিবায়োটিক যেন রান্নাঘরে অবশ্যই থাকে

বর্ষা কালে অসুস্থ হয়ে পড়ার আগেই প্রতি দিনই খাবারে রাখুন কিছু জিনিস যা ন্যাচারাল অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৭ ১৭:৫৯
Share:

কাঁচা-টাটকা মধুতে বি পোলেন ও প্রোপোলিস থাকে।

বর্ষা কাল যতই রোম্যান্টিক হোক না কেন, বেশ কিছু অস্বস্তিকর ব্যাপারও রয়েছে এই সময়ের। সর্দি-কাশি, জ্বর, পেটের সমস্যা, ভাইরাল ইনফেকশনের মতো উপসর্গগুলোও লেগেই থাকে। বর্ষা কালে তাই অসুস্থ হয়ে পড়ার আগেই প্রতি দিনই খাবারে রাখুন কিছু জিনিস যা ন্যাচারাল অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে।

Advertisement

কাঁচা মধু

কাঁচা মধুতে প্রচুর পরিমাণ অ্যামাইনো অ্যাসিড, বি-ভিটামিন, মিনারেল, এনজাইম ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। সেই সঙ্গেই একদম কাঁচা-টাটকা মধুতে বি পোলেন ও প্রোপোলিস থাকে। এই দুই উপাদান যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, তেমনই ক্ষত সারানোর অ্যান্টিবায়োটিক গুণও রয়েছে। বর্ষাকালে ডায়াবেটিকদের ফুট আলসার ড্রেসিং করতে পারেন মধু দিয়ে।

Advertisement

রসুন

বর্ষা কালে শুধুমাত্র রসুন তেল দিয়েই সারিয়ে তোলা যায় সর্দি-কাশির সমস্যা। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিফাংগাল গুণ থাকার পাশাপাশি রসুন শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও। তাই যে কোনও ফাংগাল ইনফেকশন সারাতে পারে রসুন। চিকিত্সকরা বলে থাকেন সেরা ফল পেতে রসুন ব্যবহারের ১০-১৫ মিনিট আগে ছাড়িয়ে রাখুন। খোলা হাওয়ায় থাকলে অক্সিজেন রসুনে অ্যালিসিন উত্পাদনে সাহায্য করে। রান্না করার সময় শেষ ৫ মিনিটে রসুন দিন।

নারকেল তেল

ন্যাচারাল অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে ক্রমশই বাড়ছে নারকেল তেলের জনপ্রিয়তা। লরিক অ্যাসিড, ক্যাপরিক অ্যাসিড, ক্যাপরাইলিক অ্যাসিডের মতো সব রকম স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকার পাশাপাশি ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাংগাসের বিরুদ্ধে যোঝার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণের কারণেই নারকেল তেল এত উপকারি। বর্ষায় ত্বকের ইনফেকশন, একজিমার সমস্যাতেও উপকারি নারকেল তেল।

অরিগ্যানো অয়েল

বাঙালি হেঁশেলে অরিগ্যানো অতটা সচরাচর না পাওয়া গেলেও ইতালীয় খাবারের জনপ্রিয়তার কারণে অরিগ্যোনো এখন বাঙালিদের কাছে পরিচিত মশলা। এই অরিগ্যানো অয়েল বাড়িতে স্যানিটাইজার হিসেবে খুবই উপকারি। বিদেশে বিভিন্ন স্কুল, ডে কেয়ারেও অরিগ্যানো অয়েল ব্যবহার করা হয়।

৬ সপ্তাহ ধরে নিয়মিত ৬০০ মিলিগ্রাম অরিগ্যানো অয়েল খাওয়া হলে তা মানুষের খাদ্যনালীতে পরজীবী ব্যাকটেরিয়া মারতে সাহায্য করে। হালকা সর্দি-কাশির জন্য বর্ষায় দিনে ১,৫০০ মিলিগ্রাম অরিগ্যানো অয়েল ক্যাপসুল খেতে পারেন। বেশি ঠান্ডা লাগলে ৩,৫০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত খেতে পারেন।

আরও পড়ুন: কোলেস্টেরল বেশি থাকলেও নিশ্চিন্তে বেশি খেতে পারেন বাদাম, বলছেন রুজুতা

এ ছাড়াও যে কোনও ক্যারিয়ার অয়েলে ১-২ ফোঁটা অরিগ্যানো অয়েল মিশিয়ে ফাংগাল ইনফেকশন বা সাইনাসের কনজেসশন কমাতেও ব্যবহার করতে পারেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement