গাজর দিয়ে তৈরি ক্যারট কেক অনেকদিন থেকেই বেশ জনপ্রিয়। ছবি: সংগৃহিত
ময়দা, ডিম, চিনি, দুধের সঙ্গে চকোলেট কিংবা ভ্যানিলা মিশিয়ে কেক তৈরি হয় বলেই আমরা জানি। তা ছাড়াও প্রচুর ফল ব্যবহার করা হয়— আম, কলা, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি। মিষ্টি ফল কেকে দিলে, কেকও মিষ্টি হবে, তেমনই প্রচলিত ধারণা। কিন্তু সব্জি দিয়েও যে অসাধারণ মিষ্টি কেক তৈরি করা যায়, জানা ছিল কি?
এত অবাক হচ্ছেন কেন? গাজরের হালুয়া বা রাঙা আলুর পুলি পিঠে আমাদের মা-ঠাকুমারা বহু যুগ ধরে করে আসছেন। মিষ্টির দোকানের ময়রারা পটল মিষ্টি, গাজরের রসগোল্লা, রাঙা আলুর পান্তুয়াও তৈরি করছেন বেশ কয়েক বছর ধরে। ঠিক তেমনই সব্জি দিয়ে মিষ্টি কেকও তৈরি করা সম্ভব।
গাজরের হালুয়ার মতো ক্যারট কেক বা গাজর দিয়ে তৈরি কেক দিয়ে মিষ্টিমুখ সারতে পছন্দ করেন ব্রিটিশরা। লন্ডনের ‘লার্ক’ বেকারির শেফ তমল রায় মিষ্টি কেকে সব্জি ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। সব্জি দিলে মিষ্টির স্বাদে অন্য রকম মাত্রা যোগ হয়, বলেই তাঁর মত। গাজর ছাড়াও বিটরুট, রাঙা আলু বা স্কোয়াশের মতো সব্জি ব্যবহার করেন তাঁর কেক-প্যাস্ট্রিতে।
তবে শুধু লন্ডনে নয়, সব্জি দিয়ে বেকিংয়ের চল রয়েছে এ দেশেও। গাজরের কেক এখন যথেষ্ট জনপ্রিয়। বিটরুটের প্রাকৃতিক লাল রং বেকারদের দারুণ পছন্দ। মিষ্টি কুমড়োর পিউরিও ব্যবহার করা হয় নানা কেক, প্যাস্ট্রিতে। এখন অনেকেই স্বাস্থ্য সচেতন। তাই কেক তৈরির ক্ষেত্রে সব্জির ব্যবহার হালে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। লকডাউনে বাড়ি বসে অনেকেই নানা রকম কেক তৈরিতে মেতেছেনও। অনেকেই তাই একঘেয়েমি কাটাতে কী করে নতুন উপকরণ দিয়ে কেক বানানো যায়, সেই খোঁজ শুরু করেছেন। তাতেই সব্জি দিয়ে কেক তৈরির জনপ্রিয়তা আরও খানিক বেড়েছে।