৬০ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এমন সৌন্দর্য রাখা খুব একটা সহজসাধ্য নয়। ছবি: সংগৃহীত
জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন নীতু কপূর। প্রায় ন’বছর পর রাজ মেহতার ছবি ‘যুগ যুগ জিও’-র হাত ধরে বড় পর্দায় ফিরছেন। ২০১৩ সালে ‘বেশরম’ ছবিতে তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল। স্বামী ঋষি কপূর এবং ছেলে রণবীরের সঙ্গে সেই ছবিতে এক পর্দায় দেখা যায় তাঁকে। ঋষি কপূর মারা যাওয়ার পর মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। ধীরে ধীরে সেই শোক সামলেও উঠেছেন। সদ্য ছেলে রণবীরের বিয়ে দিয়ে শাশুড়ি হয়েছেন। তবে ৬৩-র নীতু কপূরকে দেখে তা বোঝার উপায় নেই। বয়স তাঁকে কাবু করতে পারেনি। এই বয়সেও তিনি যথেষ্ট ফিট। ৬০ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এমন সৌন্দর্য রাখা খুব একটা সহজসাধ্য নয়। জীবনযাপন, খাওয়াদাওয়াতে অনেক বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হয়। নীতু কপূরও নিজেকে সুস্থ-সচল রাখতে বিশেষ খাদ্যতালিকা মেনে চলেন।
নীতু কপূর নিজেকে সুস্থ-সচল রাখতে বিশেষ খাদ্যতালিকা মেনে চলেন। ছবি: সংগৃহীত
নীতু কপূর অত্যন্ত শরীর সচেতন। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রতি তাঁর ঝোঁক বেশি। নীতু সকালের জলখাবারে খান বিভিন্ন সব্জি দিয়ে তৈরি পোহা এবং ফরাসি কফি। প্রাতরাশের পর খানিক বেলা বাড়লে বিভিন্ন ধরনের মরসুমি ফল ও এক গ্লাস ঘোল খান তিনি। নীতু দুপুরে খান একটি রুটি, ডাল, চিকেন স্টু অথবা বেক্ড ফিশ এবং সব্জি। সন্ধ্যার দিকে টুকটাক মুখ চালাতে বেছে নেন ড্রাই ফ্রুট। নীতু চিনি খান না একেবারেই। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, চিনি না খাওয়ার অভ্যাসই তাঁকে এই বয়সেও ফিট রাখতে সাহায্য করেছে। মিষ্টি খেতে ভালবাসেন। তবে নিজেকে ফিট রাখতে আত্মসংবরণ করতে হয়। কিন্তু কখনও খুব ইচ্ছা করলে তখন চিনি ছাড়া চকোলেট খেয়ে নেন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।