খাদ্যে মেলবন্ধনের এক ঝলক।
চিলি চিকেন কোথায় তৈরি? চিন? এমনই বলবেন তো? কিন্তু দেশের কত শহরে কত রকম চিলি চিকেন পাওয়া যায় জানেন? দক্ষিণ ভারতের গুনটুরের চিলি চিকেন খেয়েছেন কি কখনও?
নারকেল-পেয়াঁজ দিয়ে ঝালমুড়ি তো অনেক খেয়েছেন। তাতে কাসুন্দি পড়লে কেমন হয় জানা আছে? জানতে হলে চেখে দেখতে হবে। শুধু কাসুন্দি তো নয়, গবেষকের রান্নাঘরে কত কী যে ঘাঁটা হচ্ছে!
যে কোনও খাবারের নিজস্ব গল্প থাকে। নিজের স্বাদ-গন্ধে তা ফুটে ওঠে। আবার নতুন মশলা-মরিচে সে গল্পের মোড়ও বদলায়। মেলবন্ধনের কাব্য রচনা হয় রাঁধুনির হাঁড়িতে।
অতিমারির এই বিশ্বেও দেশের নানা প্রান্তের রসনা-সম্ভার নিয়ে তেমনই গল্প খুঁজে বেড়াচ্ছেন কয়েকজন। বিভিন্ন প্রান্তের মশলার মিশ্রণে তৈরি হচ্ছে নতুন পদ। উঠে আসছে সে সব পদ চেখে দেখার নতুন ঠিকানাও।
গবেষণার সে ঠিকানা।
এমন সুযোগ থেকে বঞ্চিত নয় এ শহরও। ‘ফিউশন’ স্বাদ তুলে ধরতে তৈরি হয়েছে রেস্তরাঁ। পা রাখলেই চোখে পড়বে নিত্য চলতে থাকা গবেষণার ছাপ। চিজ কেক থেকে পাঁপড়, চেনা সব কিছুর স্বাদেই আছে অভিনবত্ব।
মূলত এ দেশের বিভিন্ন প্রদেশের খাবার নিয়েই চর্চা চালাচ্ছেন কর্ণধার জোরাভার কালরা। ইতিমধ্যেই তাঁর রেস্তরাঁ ‘ফার্জি কাফে’ মন জয় করেছে দিল্লি থেকে লন্ডনের। কোথাও জাপানি কায়দায় ভাজা চিংড়ির সঙ্গে পাতে পড়েছে উত্তর ভারতের চাটনি। কোথাও বা পিৎজার ঢঙে কুলচা বানিয়ে তা খাইয়েছেন হাতে তৈরি টোম্যাটো সস দিয়ে।
দেশের রসনা ভাণ্ডারে এভাবেই যুক্ত হয়েছে নানা পদ। সংস্কৃতির পিঠস্থান এ শহর সে চর্চা থেকে বঞ্চিত হয় কী ভাবে!