obesity

ওজন কমবে সহজেই, যদি মেনে চলেন এই ক’টা কৌশল

কোন কোন বিষয়ে দিতে হবে বাড়তি মনোযোগ?

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২০ ১২:৪০
Share:

কিছু কৌশল মেনে চললে ওজন ঝরানো সহজ হয়। ছবি: আইস্টক।

যে ভাবেই হোক ওজন কমাতে হবে। বিভিন্ন অসুখের ক্ষেত্রেও প্রাথমিক নিদানের মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠছে চিকিৎসকদের এই পরামর্শ। হাঁটুর ব্যথা থেকে ডায়াবিটিস, হার্ট সুস্থ রাখা থেকে কোমরে ব্যথা, সবেতেই শরীরের বাড়তি ওজনকে বশে এনে রোগের সঙ্গে লড়াই অনেক সহজ করে তোলার চেষ্টা করা হয়। অথচ ওজন কমানোর কোনও চোরাগোপ্তা উপায় নেই। নেই কোনও শর্টকাটও।

Advertisement

চিকিৎসক ও ডায়াটেশিয়ানদের মতে, পরিশ্রম করে, ঘাম ঝরিয়ে রোগা হওয়াই সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। তার মানেই যে জিমে গিয়ে নিয়ত খাটাখাটনি, তা নয় কিন্তু! বরং ওয়েট ট্রেনিং না করলে জিমে যাওয়ার চেয়ে ঘরোয়া ব্যায়াম ও যোগাসনেই উপকার বেশি বলে বিশেষজ্ঞদের মত।

প্রতি দিন ডায়েট মেনে খাওয়া, ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত ঘুমের উপর ভরসা করে ওজন কমানোর পদ্ধতিতে ভরসা করেন চিকিৎসকরা। তবে এত কিছুর মধ্যেও কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে ওজন ঝরানো অনেক সহজ হয়ে ওঠে। কোন কোন বিষয়ে দিতে হবে বাড়তি মনোযোগ?

Advertisement

আরও পড়ুন: মাত্র কয়েক মিনিট সময় দিলে এই দুই ব্যায়ামেই উধাও হতে পারে ভুঁড়ি!

ওজন তোলার অভ্যাসে বাড়বে পেশীর শক্তি।

যে খাবারই খান, তা যেন প্রাকৃতিক ভাবে উৎপন্ন হয়। সোজা কথায় বললে, প্যাকেটজাত বা প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চেষ্টা করুন পাতে টাটকা ও প্রাকৃতিক খাবার রাখতে। প্রক্রিয়াজাত খাবারে অতিরিক্ত চিনি ও লুকনো ট্রান্স ফ্যাট মেদ জমায়। আলু খান, সেদ্ধ বা বেক করা আলু বা অল্প আলুর তরকারিতে মেদ বাড়ে না। তবে এড়িয়ে চলুন হাইড্রোজেনেটেড তেলে ভাজা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিপস ও আলুর টিকিয়া বা তেল দিয়ে বানানো ফাস্ট ফুড। শরীরচর্চার সময় শুধু দৌড়নো বা হাঁটাহাঁটিতে থেমে থাকলে কিন্তু প্রথম প্রথম ওজন এক লাফে অনেকটা কমলেও একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর আর ওজন কমে না। তাই ওজন তোলার অধ্যায় রাখতেই হবে মাঝে। এতে পেশী মজবুত হবে ও শরীরে মেদ জমার সুযোগ পাবে না। সব রকম খাবারই রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়। তাতে যেমন প্রোটিন থাকবে, তেমনই ফ্যাট ও শর্করাও রাখতে হবে পরিমাণ মতো। সে ক্ষেত্রে ফ্যাট নিন প্রয়োজনীয় মাছ-মাংস বা রান্নায় যেটুকু তেল লাগছে তা থেকেই। বাড়তি ফ্যাটযুক্ত খাবার তালিকায় রাখবেন না।

আরও পড়ুন: মোটা হওয়া থেকে রক্তে শর্করা বাড়ানো, কতটা ভিলেন আলু?

কম নুনেই হবে কেল্লা ফতে।

সাপ্লিমেন্টে না বলুন। সাপ্লিমেন্ট খেয়ে খুব সহজেই রোগা হওয়া যায়। কিন্তু এই সব সাপ্লিমেন্ট দীর্ঘ দিন ধরে খেলে শরীরে তার ভাল প্রভাব পড়ে না। পর্যাপ্ত ঘুমে যেন কোনও বাধা না পড়ে। প্রয়োজনে ঘুমোতে বাধা দেওয়া স্মার্টফোনটি ঘুমনোর সময় কাছে রাখা যাবে না। মেডিটেশন ও কোনও সৃজনশীল কাজে নিজেকে কিছুটা ব্যস্ত রাখুন। এতে মানসিক চাপ কমবে। সারা দিনের স্ট্রেস থেকেও শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট নয় ও মেদ জমে। শরীরে কতটা জলের প্রয়োজন তা জেনে সেই পরিমাণ জলের জোগান দিন রোজ। যতটা নুন খান, তার চেয়ে ১০ গ্রাম নুন কমিয়ে দিন পাত থেকে। শরীর খুব বেশি পরিমাণ নুন না পেলে শরীরে জল জমাতে পারবে না। ফলে জল জমে শরীর ফুলে যাবে না। দুধজাত উপাদান কী কী আর কত পরিমাণে ডায়েটে রাখা যাবে, তা জেনে নিন ডায়াটেশিয়ানের থেকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement