মেদ ঝরাতে ধীরে ধীরে ফিরুন ডায়েটে। ছবি: আইস্টক।
গোটা শীত কেটেছে পার্টি, নিমন্ত্রণবাড়ি, পিকনিকে। নিয়ম মেনে চলা ডায়েটের সঙ্গে প্রায়ই আপস করতে হয়েছে। এ দিকে তেল-ঝাল-মশলার জেরে শুধু হজমের অল্পস্বল্প সমস্যা তো শুরু হয়েছেই, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে বাড়তি ওজন। মেদ বেড়েছে হু হু করে।
হয়তো ভেবেছেন, পার্টির মরসুম ফুরোতেই খাওয়াদাওয়ার অভ্যাসে ফিরিয়ে আনবেন পুরনো ছন্দ। কিন্তু যদি হঠাৎ সব বদলাতে চান, তা হলেও কিন্তু বিপদে পড়বেন। তাই ধীরে ধীরে ফিরুন ডায়েটে।
গত দু’মাসে পার্টি-পিকনিক মিলিয়ে নিশ্চয় অবাধে চলেছে ফাস্ট ফুড খাওয়া। তাই সবার আগে বিদায় জানান তাদের। ‘‘রোজের ব্রেকফাস্টে কয়েকটা দিন বাদ থাকুক অমলেটও। বরং প্রাতরাশের নতুন ডায়েট রুটিনে থাকুক ওটস জাতীয় খাবার। সারা দিনে পাতে বেশি করে রাখুন শাক-সব্জি বা প্রোটিন জাতীয় খাবার।’’— জানালেন পুষ্টিবিদ সুমেধা সিংহ।
আরও পড়ুন: চরিত্র বদলাচ্ছে ভাইরাল ফ্লু, বসন্তে অসুখ ঠেকাতে মেনে চলুন এ সব
বেশ কিছু নিয়ম মেনেই সাজান প্রতি দিনের ডায়েট। সতর্ক থাকতে হবে কোন কোন বিষয়ে? রইল টিপ্স।
খাবারের তালিকা থেকে বাদ পড়ুক তেল ও ভাজা জাতীয় খাবার। স্যুপ, স্টু ও সিদ্ধ খাবারে স্বাস্থ্যের হাল ফেরান। যথাসম্ভব কম তেল দিয়ে রান্না করুন ও এড়িয়ে চলুন অতিরিক্ত মশলা জাতীয় খাবার। ভাতের পরিমাণ কমিয়ে দিন। বরং ভাতের সঙ্গে থাকুক রুটি। সঙ্গে রাখুন প্রচুর পরিমাণে শাক-সব্জি। পারলে ব্লাঞ্চ করে নিন। লাঞ্চে সাদা ভাতের পরিবর্তে খেতে পারেন কালো চালের ভাত বা ওটস।
আরও পড়ুন: হাতের কাছেই রয়েছে ম্যাজিক সমাধান! এ বার চুল পড়বে কম, পালাবে খুশকিও!
পাতে বাড়িয়ে দিন প্রোটিনের মাপ। ভাত-রুটির বদলে মাছ-মাংস-ডিম-পনীর খেয়ে পেট ভরান। সয়াবিন, মুসুর ডালের মতো উদ্ভিজ্জ প্রোটিন রাখুন পাতে। মিষ্টিটা এ বার একেবারে বাদ দিন পাত থেকে। স্কিমড মিল্কে আস্থা রাখুন। একান্তই মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে হালকা মিষ্টির ছানা দিয়ে বানানো সন্দেশ খেতে পারেন সপ্তাহে এক-আধ বার। খাবারের শেষে মেনুতে অবশ্যই রাখুন টক দই। সকালে ও দুপুরে খাওয়ার এক-দু’ ঘণ্টা বাদে অবশ্যই একটা গোটা ফল চিবিয়ে খান।