বিহারের মসিহারি অঞ্চলের এই ঘটনায় হতবাক চিকিৎসকেরাও। ছবি: শাটারস্টক
৪০ দিনের শিশুর পেটে মিলল ভ্রূণের হদিস। বিহারের মসিহারি অঞ্চলের এই ঘটনায় হতবাক চিকিৎসকেরাও।
সম্প্রতি, সেই শিশুকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় মতিহারির রহমানিয়া মেডিক্যাল সেন্টারে। চিকিৎসকদের জানানো হয়েছিল যে, শিশুটির শ্রোণির কাছের জায়গাটি ফুলে গিয়েছে, তাই সে ঠিকমতো প্রস্রাব করতে পারছে না। সমস্যার কারণ খতিয়ে দেখতে চিকিৎসকরা বিভিন্ন রকম পরীক্ষা করান। পরীক্ষার ফলাফল হাতে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ চিকিৎসকদের। রিপোর্টে ধরা পড়ল, শিশুটি মায়ের পেটে থাকাকালীন তার পেটেও ভ্রূণের জন্ম হয়েছে।
রহমানিয়া মেডিক্যাল সেন্টারের চিকিৎসক ওমর তাবরেজ বলেন, ‘‘ডাক্তারি ভাষায় একে বলে ‘ফিটাস ইন ফেটু’ বা শিশুর পেটে ভ্রূণের উপস্থিতি।’’ তিনি জানান, এটি একটি বিরল পরিস্থিতি, যা ১০ লক্ষের মধ্যে ৫ জন রোগীর ক্ষেত্রে ঘটে।
প্রতীকী ছবি
সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা শিশুটিকে বেসরকারি হাসপাতালে পাঠান। সেখানে অস্ত্রোপচার করে তার শরীর থেকে ভ্রূণটি বার করা হয়েছে।
চিকিৎসক ওমর তাবরেজ জানিয়েছেন, এখন শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ।
কিন্তু ‘ফিটাস ইন ফিটু’ ব্যাপারটি আসলে কী?
যমজ সন্তানদের ক্ষেত্রে এই ঘটনা লক্ষ করা যায়। এ ক্ষেত্রে একটি শিশুর মধ্যেই অন্য শিশুর ভ্রূণ বাড়তে থাকে। তবে খুব বেশি বাড়তে পারে না। প্রথম শিশুটির জন্মের পর তার পেটে সেই ভ্রূণের খোঁজ মেলে। বেশি দেরিতে ধরা পড়লে, সদ্যোজাতর টিউমার হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।