কোন উপায় মেনে চললে পায়ে ফোস্কা পড়বে না? ছবি: সংগৃহীত।
জুতোর আলমারিতে নতুন জুতো ভরে রাখার শখ রয়েছে অনেকেরই। বর্ষায় পছন্দের পোশাকের সঙ্গে জুতসই জুতো না হলে মুখ ভার অনেকেরই। কিন্তু নতুন পছন্দের জুতো যদি পায়ের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তখনই শুরু হয় জুতো-যন্ত্রণার শুরু। প্রথমে ফোস্কা, তার পর চামড়া উঠে ক্ষত তৈরি হওয়া। যত দামি জুতোই হোক, খানিক ক্ষণ হাঁটিহাঁটির পর অনেকের ত্বকেই নতুন জুতোর জন্য ফোস্কা পড়ে। আর তখন ব্যান্ড এড, তুলো, ওষুধ ছাড়া জুতো পরার অবকাশ থাকে না। ফোস্কা পড়লে পরবর্তী দু’-তিন দিন হাঁটাচলা করাও সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়।
এ সমস্যা আপনার একার নয়। এ নিয়ে খুব নাজেহাল হওয়ার উদাহরণও কম নেই। তবে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললে জুতো থেকে তৈরি ফোস্কা ও তার যন্ত্রণাকে রুখে দিতে পারেন সহজেই।
জুতো পরার আগের দিন রাতে কোনও ময়শ্চারাইজার, পেট্রোলিয়াম জেলি বা নারকেল তেল ভাল করে মাখিয়ে রাখুন জুতোর গায়ে। সারা রাত ও ভাবেই রেখে দিন। সকালে কোনও কাপড় দিয়ে তা মুছে পায়ে গলান জুতো। জুতো পরার সময় পায়েও মেখে নিন ময়েশ্চারাইজ়ার। এতে ফোস্কার ঝুঁকি কমে। জুতোর নির্দিষ্ট কিছু অংশের চামড়া মোটা থাকলে ত্বকের সঙ্গে ঘষা লেগে ফোস্কা পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। সে ক্ষেত্রে ওই অংশগুলিতে ভাল করে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। এতে জুতোর চামড়া নরম হবে।
এ সব মেনেও যদি পায়ে ফোস্কা পড়ে, তা হলে উপায়?
১) ফোস্কা নিয়ে কষ্ট করে হাঁটাচলা করতে যাবেন না। ফোস্কার জায়গায় অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ও ব্যান্ড এড লাগান।
২) ফোস্কা থেকে তৈরি হওয়া ক্ষতে দিনে বার তিনেক মধু ও অ্যালো ভেরা জেল লাগান। এই দুই উপাদান ফোস্কার ক্ষত শুকোতে সাহায্য করে।
৩) ফোস্কার জায়গায় টুথপেস্ট ব্যবহার করলেও আরাম পাওয়া যায়। এ ছাড়া ফোস্কা থেকে রেহাই পেতে বরফ দারুণ কাজের।
৪) সামান্য জলের সঙ্গে আটা গুলে থকথকে মণ্ডটি ফোস্কার উপর লাগাতে পারেন। এতেও ফোস্কার ক্ষত শুকোয় তাড়াতাড়ি। তবে বাড়াবাড়ি রকমের ক্ষত তৈরি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ও প্রয়োজনীয় অ্যান্টিসেপটিক লাগান।