কাজ থেকে ফিরে খুব ক্লান্ত লাগলে হট চকোলেটের কাপে চুমুক দিতেই পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
সঙ্গীর সঙ্গে পার্ক স্ট্রিটে প্রথম দেখা করতে গিয়ে হট চকোলেট অর্ডার করেছিলেন। কনকনে ঠান্ডায় এই পানীয়ের উষ্ণ পরশ শরীরের সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্কের উষ্ণতা নিঃসন্দেহে বাড়িয়ে তুলেছিল। কিন্তু ঘন দুধ, চিনি, কনডেন্স্ড মিল্ক, কোকোর মিশ্রণে যে পরিমাণ ক্যালোরি শরীরে গিয়েছিল, তা পোড়াতে এক সপ্তাহ টানা কসরত করতে হয়েছিল। এখনও সেই স্মৃতি রোমন্থন করতে প্রায়শই সেই রেস্তরাঁয় ঢুঁ দেন। হট চকোলেট খাবেন না ভেবেও লোভ সামলাতে পারেন না। অথচ খাওয়ার পরেই অপরাধবোধে ভোগেন। তবে পুষ্টিবিদেরা কিন্তু বলছেন, হট চকোলেট শুধু ওজন বৃদ্ধি করে না। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর এই পানীয়ের অনেক গুণ রয়েছে।
১) মন ফুরফুরে করে তোলে
অফিসে ঊর্ধ্বতনের কাছে প্রচণ্ড বকুনি খেয়ে মনখারাপ? অফিস থেকে বেরিয়ে একছুটে চলে যান কাছের কোনও ক্যাফেতে। এক কাপ হট চকোলেট নিমেষে মন ভাল করে দিতে পারে। মন ভাল রাখে যে এনডরফিন হরমোন, তার ক্ষরণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এই চকোলেট।
২) হাড় ভাল রাখে
হট চকোলেটের মধ্যে যে দুধ থাকে, তা ক্যালশিয়ামের উৎস। তাই হাড় ভাল রাখতে পারে। সঙ্গে চকোলেটের মধ্যে থাকা একাধিক খনিজ সেই ক্যালশিয়াম শোষণে সাহায্য করে।
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর এই পানীয়ের অনেক গুণ রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
৩) এনার্জি বাড়িয়ে তোলে
কাজ থেকে ফিরে খুব ক্লান্ত লাগলে হট চকোলেটের কাপে চুমুক দিতেই পারেন। চকোলেটের মধ্যে যে ক্যাফিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, তা মনকে তৎক্ষণাৎ চনমনে করে তুলতে পারে।