আপনার কি খরচের হাত ছবি: সংগৃহীত
ইন্টারনেট মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বিপ্লব এনে দিয়েছে। কেনাকাটা থেকে অবসরযাপন, সবেতেই এখন মানুষের সবচেয়ে কাছের সঙ্গী ইন্টারনেট। কিন্তু ইন্টারনেটের এমন বহুল ব্যবহারে খরচও বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। কী ভাবে কমাবেন এই খরচ? রইল তারই হদিস।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। দশে মিলে করি কাজ: ওটিটিই হোক কিংবা কেনাকাটা করার ওয়েবসাইট, একা ব্যবহার করার বদলে পরিজনদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে ব্যবহার করুন। খরচ কম যাবে অনেকটাই।
২। এক এক করে: নেটমাধ্যমে সব কিছুতেই প্রচুর বিকল্প রয়েছে। ছবি কিংবা ওয়েবসিরিজ দেখাই হোক বা কেনাকাটা করার সাইট। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, যাঁরা এই অ্যাপ কিংবা সাইটগুলি ব্যবহার করেন, তাঁদের সাবস্ক্রিপশন চালু থাকে একটানা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই সঙ্গে অনেকগুলি একই ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করলে খরচ বাড়ে। ধরুন আপনি কোনও নির্দিষ্ট ওয়েব সিরিজ দেখতে চান, সে ক্ষেত্রে যে মাধ্যমে ওই সিরিজটি আসবে, এক মাস সেই মাধ্যমটি চালু রেখে বাকিগুলি বন্ধ করে রাখুন।
৩। নিজে থেকে টাকা কেটে নেওয়া: অনেকেরই সাবস্ক্রিপশনের টাকা প্রতি মাসে নিজে থেকেই কেটে নেওয়ার বন্দোবস্ত করা থাকে। এই ব্যবস্থাটি বন্ধ করে রাখুন। প্রতি মাসের শেষে নিজের হাতে টাকা ভরুন। এতে ঝক্কি হয়তো বাড়বে, কিন্তু খরচও কমবে।
৪। কেনাকাটা: যাঁরা নেটমাধ্যমে কেনাকাটা করতে ভালবাসেন, তাঁরা তৎক্ষণাৎ না কিনে, পছন্দের জিনিস কার্টে জমা করে রাখুন। এতে দু’টি জিনিস হবে। যখন যা খুশি কেনার প্রবণতা কমবে। আর ভবিষ্যতে ছাড় পাওয়ার সুযোগও বাড়বে।
৫। খাবারদাবার ও যাতায়াত: এখন বিভিন্ন ফুড ডেলিভারি অ্যাপের মাধ্যমে যখন যা খুশি খাবার আনিয়ে নেওয়া যায়। এই প্রবণতা কমাতে পারেন নিজেই। আর যাতায়াতের ক্ষেত্রে খুব প্রয়োজন না পড়লে অ্যাপ-ক্যাব ভাড়া না করে, গণপরিবহণ বা সাধারণ গাড়ি ব্যবহার করলেই অনেকটা লাগাম টানা যাবে খরচে।