মুহূর্তে কমবে লঙ্কার জ্বালা ছবি: সংগৃহীত
ঝাল কিন্তু কোনও স্বাদ নয়। লঙ্কা যে জিভে মৃদু প্রদাহ সৃষ্টি করে, তাকেই সহজ ভাষায় ঝাল লাগা বলে। কিন্তু অনেক সময়ে লঙ্কার হাত চোখে লেগে গেলে বিপত্তি বাধতে পারে। এমনকি, লঙ্কা কাটার সময়ে কখনও কখনও লঙ্কার তেজে জ্বালা করে হাতের আঙুলও। রইল এমন ৫টি টোটকা যা মুহূর্তে কমাবে এই লঙ্কা থেকে তৈরি হওয়া জ্বালা।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। দুধ: দুধ লঙ্কার ‘ক্যাপসাইসিন’-এর প্রভাব নির্মূল করতে সাহায্য করে। এই উপাদানটিই জ্বলন্ত সংবেদন সৃষ্টির জন্য দায়ী। লঙ্কায় কিছু উদ্ভিজ্জ তেলের মতো পদার্থ থাকে। তাই শুধু জল অনেক সময়ে এই তৈলবস্তু সাফ করতে পারে না। দুধ এই তেল বার করে। বার দুয়েক দুধ দিয়ে চোখ সাফ করলেই মিলতে পারে আরাম।
২। নুন জল: নুন জল দিয়ে অনেক সময়ে কৃত্রিম লেন্স পরিস্কার করা হয়। কিছু সময়ের জন্য দ্রুত চোখের পলক ফেলতে ফেলতে নুন জল চোখে ছিঁটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। তবে এ সময়ে কোনও মতেই চোখ স্পর্শ করা চলবে না।
৩। ভেজা তোয়ালে: অনেক সময়ে চোখের সমস্যা এতটাই বেড়ে যায় যে, চোখ লাল হয়ে ফুলে যায় ও ব্যথা করে। এই ধরনের সমস্যায় তোয়ালে ভিজিয়ে চোখে সেঁক দিতে পারেন। ব্যথা ও ফোলা না কমা পর্যন্ত চোখের উপর একটি শীতল ভেজা তোয়ালে দিয়ে শুয়ে থাকুন।
৪। অলিভ অয়েল: চোখের পাশাপাশি হাতেও অনেক সময়ে প্রবল জ্বালা তৈরি হয়। এই ধরনের বিড়ম্বনা আটকাতে লঙ্কার সংস্পর্শে আসার সঙ্গে সঙ্গে হাত ধোয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাতের জ্বালা কিছুতেই না কমলে, অলিভ অয়েল মেখে নিতে পারেন হাতে।
৫। ঠান্ডা জল: অন্য কোনও বিকল্প না থাকলে ঠান্ডা জল দিয়ে চোখ ধোয়ার চেষ্টা করুন। লঙ্কায় তৈলবিন্দু থাকে, ফলে জল খুব সহজে একে ধুতে পারে না। কিন্তু হাতের কাছে অন্য কিছু না থাকলে বারবার চোখে ঠান্ডা জল দিলে কিছুটা আরাম মিলবে।