নিরামিষ খাবারেও রয়েছে ভরপুর মাত্রার প্রোটিন প্রতীকী ছবি।
প্রোটিন বললে প্রথমেই মনে আসে মাছ-মাংসের কথা। তাই নিরামিষাশীরা অনেক সময়ই বুঝে পান না কোন কোন খাবার থেকে মিলতে পারে প্রয়োজনীয় প্রোটিন। প্রত্যেক মানুষের প্রোটিনের চাহিদা আলাদা। মূলত উচ্চতা, ওজন এবং দৈনন্দিন কাজকর্মের উপরে ভিত্তি করেই এই চাহিদা নির্ধারিত হয়। সাধারণ ভাবে একজন সুস্থ ও স্বাভাবিক ওজনের পূর্ণবয়স্ক মহিলার প্রত্যেক দিন ৫০-৬০ গ্রাম এবং পুরুষের ৭০-৮০ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন। কোন কোন নিরামিষ খাবারে তা পেতে পারেন?
১। দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার
দুধ সুষম খাদ্য বলে পরিচিত। এক কাপ গরুর দুধে প্রায় ৩.৪ গ্রাম প্রোটিন থাকে। আবার ১০০ গ্রাম পনিরে পাওয়া যায় প্রায় ২৩ গ্রাম প্রোটিন। ফলে প্রোটিনের উৎস হিসেবে দুধ ও দুগ্ধজাত পদার্থ অত্যন্ত উপযোগী।
প্রতীকী ছবি।
২। ডাল ও দানাশস্য
এক কাপ সিদ্ধ ডালে প্রায় ১৬ থেকে ১৮ গ্রাম প্রোটিন থাকে। পাশাপাশি ছোলা, রাজমা ইত্যাদিতেও প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। কিন্তু এই ধরনের প্রোটিন হজম করতে বেশ কিছুটা সময় লাগে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সব ধরনের ডালই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খাওয়া উচিত। ডাল ছাড়া অন্যান্য শস্যের মধ্যে কিনোয়া প্রোটিনের একটি ভাল উৎস। এতে একই সঙ্গে প্রায় ১৮ ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড পাওয়া যায়।
৩। সবুজ শাক সব্জি
অ্যাসপারাগাস, ব্রকোলি, পালং শাক প্রভৃতি শাক সব্জিতেও প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম ব্রকোলি ও অ্যাসপারাগাসে প্রায় ৩.৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
৪। বাদাম
কাঠবাদাম , কাজু, পেস্তা, আখরোট, প্রভৃতি বাদামেও প্রোটিন সমৃদ্ধ। ৩৫ গ্রাম কাঠবাদামে থাকে প্রায় ৭ গ্রাম প্রোটিন। এক কাপ আখরোট থেকে মেলা প্রোটিনের পরিমাণ প্রায় ১৮ গ্রাম। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বাদামে থাকে ফসফরাস, সেলেনিয়াম , ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়ামের মতো উপাদান যা দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
৫। সয় প্রোটিন
সয় প্রোটিন রোজ রোজ খাওয়া ঠিক না। তবে সপ্তাহে দু-এক দিন নির্দ্বিধায় সয় প্রোটিন খাওয়া যেতে পারে। খেতে পারেন টোফুও। এক কাপ সয়াবিনে ৮.৫ গ্রাম এবং আধ কাপ টোফুতে পাবেন ১০ গ্রাম প্রোটিন।