Toxic

Toxic Workplace: কর্ম পরিসর কি অস্বাস্থ্যকর? তা চিনবেন কী ভাবে

যদি কাজের পরিবেশটিই হয় অস্বাস্থ্যকর, তা হলে তা অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২০:২২
Share:

অস্বাস্থ্যকর কর্ম পরিসরের লক্ষণ ছবি: সংগৃহীত

কাজ থাকলেই কাজের চাপ থাকবে। কিন্তু কর্মক্ষেত্রের চাপ অনেক সময়ে এমন পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারে, যে তা অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর। বিশেষত যদি কাজের পরিবেশটিই হয় অস্বাস্থ্যকর, তা হলে তো কথাই নেই। দেখে নিন কোন কোন জিনিস বলে দিতে পারে যে আপনার কর্মক্ষেত্রটি মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।

Advertisement

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

১। প্রথম দিন

যে কোনও কাজের ক্ষেত্রেই প্রথম দিনটি গুরুত্বপূর্ণ। সকলেই নানা ধরনের আশা-আশঙ্কা নিয়ে প্রথম দিন কাজে যোগ দিতে যান। প্রথম দিন নবাগত সহকর্মীকে সাদরে গ্রহণ করা হচ্ছে কি কর্মক্ষেত্রে? তাঁকে কি কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে? প্রথম দিন থেকেই যদি নতুন সহকর্মীর সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখা হয়, তবে তা মোটেও ভাল লক্ষণ নয়।

Advertisement

২। আলোচনার বিষয়বস্তু

অফিসের হোয়াট্‌অ্যাপ গ্রুপে এবং চায়ের আড্ডায় কী ধরনের আলোচনা হচ্ছে, তার মধ্যে দিয়েও অনেকটাই বোঝা যায় কর্মক্ষেত্রের সামগ্রিক চরিত্র। অতিরিক্ত পর নিন্দা পর চর্চা, জাতি কিংবা লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে ঠাট্টা তামাশা হচ্ছে কি? কোনও সহকর্মীকে নিয়মিত হেনস্থা করা হয় কি? এ ধরনের অভ্যাসও অস্বাস্থ্যকর করে তোলে কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ।

৩। অনির্দিষ্ট দায়িত্ব

যদি দেখেন আপনাকে যে কাজের জন্য নেওয়া হয়েছে, তার বদলে অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে, তবে বুঝবেন যে আপনার কাজের জায়গাটি মোটেও সংগঠিত নয়। না হলে জরুরি অবস্থা ছাড়া এমনটা হওয়া উচিত নয়।

৪। দুর্ব্যবহার

পদমর্যাদা যা-ই হোক না কেন, সকলের সম্মান প্রাপ্য। কর্মক্ষেত্রে ভুল-ভ্রান্তি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু ভুল হলে তা সংশোধনের উপায় কখনওই দুর্ব্যবহার হতে পারে না। অনেক সময়ে দুর্ব্যবহার সামনাসামনি বোঝা যায় না। কেউ যদি অধঃস্তন কর্মচারীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন দুর্ব্যবহার করেন, তবে নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় যে কর্মক্ষেত্রটি স্বাস্থ্যকর নয়।

৫। অস্বচ্ছতা ও অনিশ্চয়তা

অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, সহকর্মীদের সততার অভাবকে আমরা লঘু চোখে দেখি। মনে রাখবেন যে কোনও পেশাই ন্যূনতম কিছু পেশাগত দায়িত্ব দাবি করে। কর্মচারীরা যদি সেই পেশার প্রতি সৎ না হন, তবে সংশ্লিষ্ট কর্মক্ষেত্রের সংস্কৃতি কখনওই ভাল হওয়া সম্ভব নয়। অন্য দিকে, এটিও সত্যি যে লঘু পাপে গুরুদণ্ড দেওয়াও ভাল সংস্কৃতি নয়। কোনও কর্মচারীকে যদি প্রতিনিয়ত চাকরির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতে হয়, তবে সেই কর্মক্ষেত্রের পরিবেশের ভাল নয় বলেই ধরে নিতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement