ভারতের কিছু স্টেশন আবার বিশেষ খাবারের জন্যেই বিখ্যাত। ছবি: সংগৃহীত।
ট্রেন সফরের একটি বিশেষ আকর্ষণ খাওয়াদাওয়া। ট্রেনে বসে মাঝেমাঝে মুখ না চালালে সময় যেন কাটতে চায় না। লোকাল হোক কিংবা দূরপাল্লা, ট্রেনে নানা রকম খাবার পাওয়া যায়। তবে স্টেশনগুলিতেও খাবারের দোকানের কমতি নেই। আলুকাবলি, ঝালমুড়ি, ফুচকা, চপ, শিঙাড়া— স্টেশন চত্বরেই যেন খাবারের মেলা বসে। ভারতের কিছু স্টেশন আবার বিশেষ খাবারের জন্যেই বিখ্যাত।
কলকাতা
রসগোল্লা না কি ফুচকা, জনপ্রিয়তার খাতিরে কলকাতায় কোন খাবারের পাল্লা ভারী? এ নিয়ে তর্ক, আলোচনা, মতভেদের শেষ নেই। তবে সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, হাওড়া স্টেশনের সবচেয়ে বিখ্যাত খাবার হল চিকেন কাটলেট। কাঁচালঙ্কা এবং কাসুন্দি দিয়ে পরিবেশন করা হয় এই কাটলেট। কোথাও যাওয়া-আসার সময় তো বটেই, শুধু এই কাটলেটের স্বাদ নিতে অনেকেই এমনি আসেন এখানে।
চেন্নাই
চেন্নাইয়ের সেন্ট্রাল স্টেশনে গিয়েছেন, আর রাভা দোসা খাননি, এমন মানুষের সংখ্যা বেশ কম। দক্ষিণী খাবার খেতে পছন্দ না করলেও, এই দোসা এক বার খেয়ে দেখলে এর স্বাদের প্রেমে পড়তে বাধ্য হবেন। নারকেলের চাটনি এবং লোভনীয় সম্বর ডালের সঙ্গে দেওয়া হয় রাভা দোসা।
পটনার লিট্টি চোখা। ছবি: সংগৃহীত।
অমৃতসর
জলন্ধর এবং অমৃতসর স্টেশনে যাঁরা গিয়েছেন, তাঁরা জানেন এই দুই জায়গায় নানা স্বাদের খাবার পাওয়া যায়। তবে ছোলে বাটুরের চাহিদা এখানে সবচেয়ে বেশি। স্বাদও লোভনীয়। কড়া করে ভাজা বাটুরের সঙ্গে মশলাদার কাবলি ছোলার তরকারি। আচার এবং ভিনিগারে ভেজানো পেঁয়াজ দিয়ে খাওয়া হয় এই খাবার।
পটনা
বিহারের লিট্টি চোখার স্বাদ এক বার পেলে সহজে ভোলা কঠিন। পটনা স্টেশনের বেশ কয়েকটি দোকানে লিট্টি চোখা পাওয়া যায়। শোনা যায়, প্রতি দিন প্রায় কয়েক হাজার টাকার শুধু লিট্টি চোখাই বিক্রি হয়। পটনার লিট্টি চোখার একটি বিশেষত্ব রয়েছে। পরিবেশনের আগে উপর থেকে ঘি ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
খড়্গপুর
লুচি, পরোটার সঙ্গে আলুর দমের জুটি সব সময়ই বিখ্যাত। কিন্তু খড়্গপুর স্টেশনে অবশ্য শুধু আলুর দমের জনপ্রিয়তাই আকাশছোঁয়া। এই আলুর দমের নাকি স্বাদ এমন লোভনীয় যে মাংসের যে কোনও পদকে দু’গোল দেয়। শালপাতার ঠোঙায় করে এখানে আলুরদম বিক্রি হয়।