বিদেশে নিষিদ্ধ হলেও ভারতে ব্যাপক রমরমা। ছবি: সংগৃহীত।
এমন অনেক দ্রব্যই আছে, যা বিদেশের একাধিক জায়গায় ব্যবহার করা নিষেধ হলেও ভারতের প্রায় প্রতি বাড়িতে রমরমিয়ে চলছে এদের ব্যবহার। ভাবছেন তো, বিদেশে ব্যবহারে নিষিদ্ধ হলেও কী এমন আছে, যা ভারতীয়রা নিশ্চিন্তে ব্যবহার করে চলেছেন? রইল এমনই সব দ্রব্যের তালিকা।
লাইফবয় সাবান: ভারতের প্রায় প্রতি বাড়িতে এই সাবানের ব্যবহার বহুল। শিশু হোক বা বাড়ির বড়রা, সকলেই কমবেশি এই সাবানটি ব্যবহার করেন। এই সাবানে ট্রাইক্লোস্যান নামক যৌগ থাকে। এই যৌগের ব্যবহার বিশ্বের একাধিক দেশেই নিষিদ্ধ। এই যৌগ নাকি শরীরে বিভিন্ন হরমোনের কার্যকারিতা ও অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
রেড বুল: ফ্রান্স ও ডেনমার্কে এই নরম পানীয়ের বিক্রির উপর বিশেষ রকম নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই দুই দেশে ১৮ বছরের বয়সের নীচে কোনও তরুণ-তরুণী এই পানীয় কিনতে পারে না। এই পানীয় দীর্ঘ দিন খেলে নাকি হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা, অবসাদ, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ডিসপ্রিন: ইউরোপের একাধিক দেশে এই বেদনানাশক ওষুধের ব্যবহার নিষিদ্ধ। এই ওষুধ খেলে নাকি রক্তক্ষরণের সমস্যা বেড়ে যায়। বেশ কিছু গবেষণায় এই ওষুধের একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তবুও ভারতীয়রা মাথাব্যথা হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই মুঠো মুঠো এই ওষুধ খেতে শুরু করেন।
আমেরিকায় কিনডার জয় নিষিদ্ধ। ছবি: সংগৃহীত।
কাঁচা দুধ: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাঁচা দুধ ব্যবহার করার উপর নিষেধাজ্ঞা আছে। কাঁচা দুধ থেকে ব্যাক্টেরিয়াঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। এ ছাড়াও, খাদ্যে বিষক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিদেশে সব সময়েই প্যাকেট দুধ বিক্রি করা হয়। এ ক্ষেত্রে পাস্তুরাইজ়েশন পদ্ধতিতে ব্যাক্টেরিয়ামুক্ত করে তবেই প্যাকেটজাত করা হয়। অথচ ভারতে সর্বত্র কাঁচা দুধ বিক্রি করা হয়।
কিনডার জয়: এই চকোলেটের মধ্যে যে ছোট খেলনাগুলি থাকে, সেগুলি ছোটদের গলায় আটকে যেতে পারে। তাই আমেরিকায় এই চকোলেটটির ব্যবহার নিষিদ্ধ। ভারতে কিন্তু এই চকোলেটটি শিশুদের পছন্দের তালিকায় একেবারে শীর্ষের দিকে থাকে।