কোন ভুলে পড়ছে চুল? ছবি: সংগৃহীত।
শত ব্যস্ততার মাঝেও চুলের যত্ন নেন। যে কয়েক গোছা চুল আছে, সেগুলি যেন মাথায় থাকে। ঘুম থেকে উঠে নিত্যদিন এই প্রার্থনাই করেন। নামী-দামি তেল, শ্যাম্পু, সিরাম এমনকি নানা রকমের ট্রিটমেন্ট করেও কোনও কাজ হচ্ছে না। শুধু গাদাগুচ্ছের পয়সা খরচ হচ্ছে। সারা ক্ষণ চুল বেঁধে রাখলে নাকি চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই বলে সারা ক্ষণ চুল খুলে রাখাও তো ঠিক নয়। কারণ, রাস্তার ধুলোবালি লেগে মাথার ত্বক, চুল নষ্ট হয়। চুল ঝরে পড়ার পরিমাণও বেড়ে যায়। তবে ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, রোজের জীবনের কিছু ভুল কিন্তু চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
১) অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস
ভাজাভুজি, অতিরিক্ত তেল-মশলা দেওয়া খাবার খেলে কিন্তু চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। শরীরে ভিটামিন, প্রয়োজনীয় নানা খনিজের ঘাটতি থাকলে চুল কোনও পুষ্টি পাবে না। তাই সবুজ শাকপাতা, বাদাম, বীজ, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট— খাওয়া প্রয়োজন।
২) উদ্বেগ, মানসিক চাপ
খুব বেশি মানসিক চাপ থাকলে শরীরে নোরপাইনফ্রাইন বলে এক ধরনের রসায়নিক তৈরি হয়। যার ফলে ফলিক্লগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তাড়াতাড়ি চুল পেকে যায়। তাই মানসিক চাপ কমাতে নিয়ম করে যোগাভ্যাস করতে হবে। পাশাপাশি, কাজের ফাঁকে সময় বার করে মন ভাল রাখার জন্য বেড়াতে যাওয়া, গানবাজনা করা, গান শোনার মতো কাজগুলি করতে পারেন।
৩) রাসায়নিকের ব্যবহার
চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হচ্ছে। কোনও ভাবেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। তাই সালোঁয় গিয়ে চুলে একটা কায়দা করে ফেললেন। রাসায়নিকের ব্যবহারে তৎক্ষণাৎ চুল একেবারে ঝলমল করে উঠল। কিন্তু ওই কয়েকটা দিন। তার পর এমন চুল পড়তে আরম্ভ হবে যে, তা সামাল দেওয়া কঠিন হবে।
রোজের জীবনের কিছু ভুলে কিন্তু চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
৪) কম ঘুম
রাত জেগে ওয়েব সিরিজ় দেখার ফলে ঘুমের গোলমাল হচ্ছে? সকালে অফিসের তাড়নায় তাড়াতাড়ি উঠে পড়ছেন, ফলে ঘুম সম্পূর্ণ হচ্ছে কই? এই অভ্যাসের কারণেও কিন্তু চুলে পাক ধরতে পারে।
৫) শরীরচর্চার অভাব
চুল ভাল রাখতে গেলে শরীরে রক্ত চলাচল ভাল হওয়া প্রয়োজন। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে তবেই রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। চুলের গোড়ায় অক্সিজেন পৌঁছয়। ফলে চুল পড়া কমে।