কয়েকটি পানীয় খেলেই ঐশ্বর্যার মতো উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া সম্ভব। ছবি: সংগৃহীত।
বয়স বাড়লে তার ছাপ পড়ে চোখ-মুখে। মনে শান্তির অভাব থাকলেও ত্বক জেল্লাহীন হয়ে পড়ে। এই বছর পঞ্চাশে পা দিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন। আগের চেয়ে ঈষৎ ভারী হয়েছেন বটে। তবে বয়সের ছাপ কিন্তু তিনি মুখে পড়তে দেননি। ভাবছেন তার জন্য প্রচুর খরচ করতে হয়? তা একেবারেই নয়। কয়েকটি পানীয় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেতে পারলেই ত্বকের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
বড় পর্দায় অভিনেত্রী ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনকে শেষ দেখা গিয়েছিল পোন্নিয়িন সেলভান ২ ছবিতে। তার পর অনুরাগীদের নতুন করে আর কোনও সুখবর দেননি প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী। তবে বেশ কিছু দিন ধরে তাঁর সঙ্গে অভিষেক বচ্চনের বিচ্ছেদের খবরে সমাজমাধ্যম সরগরম হয়ে উঠেছে। আঙুল থেকে বিয়ের আংটি খুলে ফেলাই হোক কিংবা পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা— এই ধরনের খবর জানান দিচ্ছে অন্দরমহলে সব ঠিক নেই। তবে ব্যক্তিগত জীবনে যে ঝড়ই বয়ে যাক না কেন, তার প্রভাব চেহারায় আসতে দেননি রাইসুন্দরী। ত্বকে অভিনেত্রীদের মতো জেল্লা পেতে বা বয়স ধরে রাখতে যে সব সময়ে প্রচুর খরচ করতে হয়, তা কিন্তু নয়। কয়েকটি পানীয় খেলেই ঐশ্বর্যার মতো উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া সম্ভব।
১) বিট এবং কাঠবাদাম
বিট এবং কাঠাবাদামের রসের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বককে টক্সিন মুক্ত রাখে। পাশপাশি, কাঠবাদামের মধ্যে যে পরিমাণ ভিটামিন ই রয়েছে, তা ত্বকের পেলবতা বজায় রাখতেও সাহাস্য করে।
২) তরমুজ এবং আঙুর
তরমুজে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। তা ছাড়া, এই ফলে জলের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। তাই ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার ব্যাপারেও তরমুজ বেশ কার্যকরী। আঙুর এমনিতে সাইট্রাস জাতীয় ফল। তা ছাড়া, আঙুরের মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম। এই উপাদান আবার ত্বকের কোষ বিভাজনে সাহায্য করে।
ত্বকের যত্নে জুস। ছবি: সংগৃহীত।
৩) গাজর এবং আপেল
রোদ থেকে ত্বকের ক্ষতি রুখে দিতে পারে গাজর। গাজরের মধ্যে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন। যা শরীরে গিয়ে ভিটামিন এ-তে পরিণত হয়। এই ভিটামিন ত্বকের জন্য ভাল। সঙ্গে আপেলের মধ্যে যত প্রকার ভিটামিন রয়েছে, তা গভীর থেকে ত্বকের ত্বককে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
৪) পেঁপে ও পালং শাক
পেঁপের মধ্যে যে উৎসেচকগুলি রয়েছে, তা মৃতকোষের সমস্যা দূর করতে পারে। এ ছাড়া, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ এই ফল, বলিরেখা এবং ত্বকের কালচে দাগ-ছোপের উপরেও দারুণ কাজ করে। সঙ্গে যদি সামান্য পালং মিশিয়ে নিতে পারেন। তা হলে তো সোনায় সোহাগা।
৫) বেদানা এবং কমলালেবু
ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হল ভিটামিন ই। বেদানার মধ্যে এই ভিটামিন রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। নিষ্প্রাণ ত্বককে তরতাজা করে তুলতে বেদানা দারুণ উপকারী।