Muscle Spasm

ঠান্ডার দাপট বাড়তেই পায়ের পেশিতে টান ধরছে, বাড়ছে অস্থিসন্ধির ব্যথা, ৩ টোটকায় মিলবে মুক্তি

অন্য কোনও শারীরিক কারণ না থাকলে সাধারণত জল বা ওআরএস জাতীয় পানীয় খেলেই কিন্তু সমস্যা মিটে যাওয়ার কথা। যদি তাতেও কাজ না হয়, কী করবেন?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:১৬
Share:

পেশিতে টান লাগার টোটকা। ছবি: সংগৃহীত।

ঠান্ডার সময়ে ঘুমের মধ্যে হঠাৎ হাত-পায়ের পেশিতে টান ধরে। গা গরম রাখতে লেপ-কম্বলের তলায় সেঁধিয়ে থাকেন। তা-ও পায়ের আঙুল বেঁকে যায়। জল খাওয়া কম হলে অনেক সময়েই এমনটা হয়ে থাকে। কারও কারও পায়ে তীব্র যন্ত্রণাও হয়। চিকিৎসকেরা বলেন, গরমকালে যেমন ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে অনেকটা পরিমাণ জল বেরিয়ে যায়, তেমন শীতে জল খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে ফেলেন অনেকে। যার ফলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। অন্য কোনও শারীরিক কারণ না থাকলে সাধারণত জল বা ওআরএস জাতীয় পানীয় খেলেই কিন্তু সমস্যা মিটে যাওয়ার কথা। এ ছাড়াও এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তিনটি ঘরোয়া টোটকা মেনে দেখতে পারেন।

Advertisement

১) নিয়মিত শরীরচর্চা

স্নায়ু সচল রাখতে হালকা যোগাসন বা ব্যায়াম করা যেতেই পারে। সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো কিংবা হাঁটাহাঁটিও করতে পারেন। শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকলে পেশি মজবুত থাকে। চট করে তার উপর প্রভাব পড়়ে না। হাঁটতে যদি ভাল লাগে, সে ক্ষেত্রে মুঠোফোনে এমন কিছু অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করে রাখুন, যাতে কত পা হাঁটলেন, তার হিসেব থাকে।

Advertisement

২) শরীর আর্দ্র রাখা

সারা দিনে কত লিটার জল খাচ্ছেন, সেই হিসেবও রাখার চেষ্টা করুন। শুধু জল নয়, চা, কফির মতো পানীয় কিংবা ফলের রস— সব মিলিয়ে রোজ ৩ থেকে ৪ লিটার জল খাওয়া জরুরি। তবে কিডনির গুরুতর সমস্যা থাকলে মেপে জল খেতে বলেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের ক্ষেত্র আলাদা।

পায়ের পেশিতে টান ধরার সমস্যা দূর করতে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।

৩) গরম জলে স্নান

পায়ের পেশিতে টান ধরার সমস্যা দূর করতে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করতে পারেন। রাতে ঘুমোতে যাওয়া আগে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করলে অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর হয়। তা ছাড়া গোটা শরীরে রক্ত চলাচল ভাল হয়। শীতের রাতে যদি স্নান করতে ইচ্ছে না করে, সে ক্ষেত্রে গরম জলে পায়ের পাতা ডুবিয়ে কিছু ক্ষণ বসে থাকতে পারেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement