অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন। —ফাইল চিত্র।
মিষ্টি খেয়েও অভিনেত্রী কৃতি শ্যাননের মতো ছিপছিপে থাকবেন। এমন সাধ তো সকলেরই থাকে। কিন্তু সেই সাধ যে আসলে দিবাস্বপ্ন, তা-ও জানেন। রসগোল্লা, নানা রকম সন্দেশ, পায়েস— কোনওটাই ছা়ড়ার নয়। এ দিকে, মিষ্টিতে যে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি, সে কথা কে না জানেন। এ ছাড়াও, শর্করা জাতীয় খাবার বেশি খেলে ডায়াবিটিস রোগীদের বিপদও বেড়ে যায়। তবু মিষ্টি খাওয়ার লোভ সামলানো সত্যিই মুশকিল হয়। তার উপর যদি কোনও উৎসব থাকে, তবে তো আর কথাই নেই। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এমন কিছু মিষ্টি আছে, যেগুলিতে ক্যালোরির পরিমাণ কম। শুধু তা-ই নয়, সেই মিষ্টিগুলি পরিমিত পরিমাণে খেতে পারেন ডায়াবিটিসের আক্রান্তরাও।
—প্রতীকী ছবি।
১) ছোলার ডালের বরফি
কাজুবাদাম বা ছানার বদলে ছোলার ডাল দিয়ে বানানো বরফিতে ক্যালোরির পরিমাণ খুব বেশি নয়। তবে এই মিষ্টি তৈরি করার সময়ে ঘিয়ের পরিমাণ একটু কমিয়ে, চিনির বদলে গুড় ব্যবহার করা যায়। তা স্বাস্থ্যসম্মত হতে পারে।
২) লাউয়ের হালুয়া
লাউয়ে ক্যালোরি প্রায় নেই বললেই চলে। সুজি বা গাজরের পরিবর্তে লাউ দিয়ে হালুয়া বানালে তা খেতে পারেন ডায়াবিটিসের রোগীরাও।
৩) ওট্সের পায়েস
গোবিন্দভোগ চালে ক্যালোরি অনেকটাই বেশি। তাই চালের বদলে পায়েস রান্নায় ওট্স ব্যবহার করাই যায়। তা ছাড়া, ওট্স দিয়ে তৈরি পায়েস অনেক ক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে।
খেজুরের লাড্ডু —প্রতীকী ছবি।
৪) রাগি হালুয়া
রাগিতে প্রোটিনের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই রাগি দিয়ে তৈরি খাবার খেয়ে থাকেন। কম ক্যালোরিযুক্ত রাগি দিয়ে নোনতা খাবারের বদলে মিষ্টি বানিয়ে ফেলা যায় সহজেই।
৫) খেজুরের লাড্ডু
খেজুরের সহজপাচ্য ফাইবার এবং পটাশিয়াম ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। বিভিন্ন বীজ, তিল এবং মিলেটের গুঁড়োর সঙ্গে খেজুরের পেস্ট মিশিয়ে মিষ্টি তৈরি করা যেতেই পারে। খেজুর দেওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হল, এতে আলাদা করে চিনি ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে না।