টাকা জমানোর সহজ ৫ উপায়। ছবি: সংগৃহীত।
সাধারণত এক জন মানুষের আয়ের কত শতাংশ সঞ্চয় করা উচিত তা নির্ভর করে, তার আয় এবং অবশ্যম্ভাবী ব্যয়ের ওপর। কেউ যদি তাঁর আয়ের মোটামুটি এক চতুর্থাংশ, অর্থাৎ ২০-২৫ শতাংশ অর্থ যদি নিয়মিত সঞ্চয়ের অভ্যাস করতে পারেন, তা হলে অবসর পরবর্তী জীবনে অভাবের মধ্যে পড়তে হবে না। কী ভাবে বিনিয়োগ করে নিজের সম্পদ বৃদ্ধি করবেন, অনেকেই তা বুঝতে পারেন না। তার উপর উৎসব, অনুষ্ঠান তো লেগেই রয়েছে। সব খরচ সামলে মাসের শেষে সঞ্চয় বলতে আর কিছুই হয় না। তবে অভিজ্ঞেরা বলছেন, টাকা জমাতে না পারার পিছনে রয়েছে সঠিক পরিকল্পনার অভাব। আবার, খরচ হয়ে যাবে বলে হাতে নগদ রাখেন না অনেকে। কিন্তু কার্ড ঘষে কেনাকাটা করতেই থাকেন। সেই অভ্যাসও ভাল নয়। খুব বেশি নয়, সাধারণ কয়েকটি কৌশল মেনে চললেই সব খরচ সামলে মাসের শেষে সঞ্চয় করতে পারবেন।
১) কোন খাতে খরচ কত?
প্রতি মাসে কোথায় কত খরচ হয়, তার একটা তালিকা আগে থেকে তৈরি করে রাখুন। এমন কিছু খরচ আছে, যেগুলি প্রতি মাসে বাড়ে না। সেগুলি আগে আলাদা করে রাখুন।
২) সাধারণ বাজেট করে রাখা:
মাসের শুরুতেই তৈরি করুন বাজেট। কোন খাতে কত খরচ করবেন, তা আগে থেকে ঠিক করে রাখলে বাড়তি খরচ থেকে বিরত করা যায়। বিদ্যুৎ, গ্যাসের বিলের জন্য টাকা আলাদা করে রাখুন। ব্যক্তিগত খরচের জন্যও কিছু টাকা সরিয়ে রাখুন। বাকি টাকা কোথাও সঞ্চয় বা বিনিয়োগ করার কথা ভাবুন।
৩) বিপদে ভরসা:
বিপদ তো আগে থেকে জানান দিয়ে আসে না। তাই নিজের উপার্জন থেকে অল্প হলেও কিছু টাকা সরিয়ে রাখুন। যাতে বিপদ-আপদে কাজে লাগে।তবে ভীষণ প্রয়োজন না পড়লে কোনও ভাবেই সেই টাকায় হাত দেওয়া যাবে না।
৪) ধার নয়:
‘বাকি রাখা খাজনা, মোটে ভাল কাজ না’ এ কথা তো প্রায় সকলেই জানেন। তাই নিজের শখ-শৌখিনতা বজায় রাখার আগে ক্রেডিট কার্ড বা অন্য কোথাও ধার থাকলে তা মাসের শুরুতেই মিটিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করুন।
৫) সঞ্চয়:
উপার্জনের থেকে কতটা টাকা সঞ্চয় করতে চান, তা আগেভাগে বুঝে নিন। এর পর প্রথমেই আপনার প্ল্যানমাফিক সঞ্চয়ের জন্য নির্ধারিত টাকা আলাদা করে রাখুন। দেখবেন যেন সেই টাকায় হাত না দিতে হয়।