সব খাবার গরম করে খাওয়া ঠিক নয়। ছবি: সংগৃহীত।
সংসার, অফিস— একা হাতে সবটা সামাল দিতে হয়। সময় এবং শ্রম বাঁচাতে ডাল, তরকারি, শাক-চচ্চড়ির মতো পদ বেশি করে রেঁধে, ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখেন। সহজে খাবার গরম করার জন্য মাইক্রোঅয়েভও কিনেছেন। ফলে ফ্রিজে রাখা খাবার গ্যাস জ্বালিয়ে আবার করে ফোটানোর প্রয়োজন পড়ে না। ঝক্কি ছাড়াই খাবার সহজে গরম করা যায়। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি রান্না করার পর গরম করা মোটেও ভাল হয়। রান্না করা খাবার গরম করে খেলে তা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর হয়ে ওঠে।
চা বা কফি
সারা সপ্তাহ সময় হয় না। কিন্তু ছুটির বিকেলে সাধের সাজানো বারান্দায় মনের মানুষটির সঙ্গে বসে চা বা কফি খেতে ভালই লাগে। তখন গল্প করতে করতে এমন বিভোর হয়ে যান যে, কখনও কখনও সেই পানীয় একেবারে ঠান্ডা জল হয়ে যায়। ফেলে না দিয়ে সেই চা বা কফি ভর্তি কাপটি অনেকেই মাইক্রোঅয়েভে ঢুকিয়ে দেন। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, চা বা কফি বানানোর পর সেই পানীয়টি দ্বিতীয় বার গরম করলে অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। সেই চা খেলে অম্বলের সমস্যা বাড়তে পারে।
ডিম
ডিমের ঝোল, ডিম কষা, ডিম সেদ্ধ বা অমলেট, কোনওটিই গরম করে খাওয়া ভাল নয়। কারণ ডিম দ্বিতীয় বার গরম করলে তার প্রোটিন-গুণ নষ্ট হয়ে যায় এবং ডিমের মধ্যেই নানা ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়া জন্মায়। এই ব্যাক্টেরিয়া পেটে গেলে শরীর খারাপ হতে পারে।
ঠান্ডা হওয়া ভাত গরম করে খাওয়া উচিত নয়। ছবি: সংগৃহীত।
ভাত
সময় এবং গ্যাস বাঁচাতে অনেকেই দু’বেলার ভাত এক সঙ্গে করে রাখেন। গ্যাস থেকে নামানোর পরে ভাত যদি ঘরের তাপমাত্রাতেই রেখে দেওয়া হয়, তা হলে ভাত ঠান্ডা হয়ে গেলে নানা ব্যাক্টেরিয়া জন্মাতে শুরু করে। সেই ঠান্ডা হওয়া ভাত যদি আবার গরম করা হয়, তবে ব্যাক্টেরিয়াগুলির ক্ষতিকারক প্রভাব বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আলু
সকালে লুচির সঙ্গে রান্না করা আলুর তরকারি অনেকটা বেঁচে গিয়েছে। ভাবলেন, রাতে রুটি দিয়ে এই তরকারি খাওয়া হয়ে যাবে। এতে সময় হয়তো বাঁচবে, কিন্তু সমস্যা হতে পারে। আলুর তরকারি বার বার গরম করে খাবেন না। এতে আলুর যে নিজস্ব পুষ্টিগুণ, তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। গরম করা আলুর তরকারি খেলে পেটের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।
শাক
পুঁই শাক, পালং শাক, লালশাক বা মেথি শাক— শাকের কোনও পদই রান্না করার পর গরম করে খাওয়া উচিত নয়। শাকপাতায় নাইট্রেট থাকে। রান্না করা শাকের তরকারি পুণরায় গরম করা হলে, ওই নাইট্রেট থেকে নাইট্রোস্যামাইন নামের এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ তৈরি হয়, যা শরীরের ক্ষতি করে।