—প্রতীকী ছবি।
পর্যাপ্ত ঘুম সুস্থ জীবনের প্রধান চাবিকাঠি। প্রতিদিন অন্তত পক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুম না হলে দেখা দিতে পারে একাধিক শারীরিক ও মানসিক রোগ। কাজেই অনিদ্রার সমস্যা থাকলে তা অবহেলা করা উচিত নয়। অনিদ্রার সমস্যা দীর্ঘ দিন ধরে থেকে গেলে তা একটি স্থায়ী রোগে পরিণত হতে পারে। বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলে ‘ইনসমনিয়া’। রূপকথার গল্পে পড়া সোনার কাঠি বা রূপোর কাঠি না হলেও এমন কিছু কৌশল এখানে দেওয়া হল, যা মেনে চললে ঘুম আসবে সহজেই।
১) ঘুমের নির্দিষ্ট সময় মেনে চলুন
ছোট বাচ্চাদের অভ্যাস করানোর জন্য অনেক অভিভাবকই মাথার পাশে অ্যালার্ম সেট করে রাখেন। ঘুমের স্বাভাবিক চক্র ঠিক রাখতে, সেই পুরনো অভ্যাসই আবার ফিরিয়ে আনতে পারেন। ঘুম থেকে ওঠা এবং ঘুমোতে যাওয়ার নির্দিষ্ট সময় মেনে চলার চেষ্টা করুন।
২) মনকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এমন কোনও কাজ করুন, যাতে মন শান্ত থাকে। ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করতে পারেন, বই পড়তে পারেন, ঘর অন্ধকার করে ঢিমে লয়ের গান শুনতে পারেন।
৩) ডিজিটাল যন্ত্র থেকে দূরে থাকুন
সন্ধের পর থেকেই ফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেটের ব্যবহার কমাতে শুরু করুন। এই ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস থেকে বিচ্ছুরিত নীল আলো ঘুমের বারোটা বাজিয়ে দিতে পারে।
৪) ক্যাফিন এবং নিকোটিন থেকে দূরে থাকুন
সারা দিন কাজের মধ্যে থাকেন বলে একাধিক বার কফি খান। বুদ্ধির গোড়ায় ধোঁয়া না দিলে কাজে গতি আসে না অনেকেরই। কিন্তু সমস্যা হল, সন্ধের পর থেকে বার বার ক্যাফিনজাতীয় পানীয় খেলে বা ধূমপান করলে মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলি উত্তেজিত হয়ে পড়ে। ফলে ঘুম আসতে সমস্যা হয়। তাই এই অভ্যাসগুলি ত্যাগ করতে পারলেই ভাল।
৫) দুপুরে ঘুমোবেন না
কাজের মাঝে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের ‘পাওয়ার ন্যাপ’ নেওয়া ভাল। কিন্তু দুপুর বেলা মাছ-ভাত খেয়ে নাক ডেকে ঘুমোনোর অভ্যাস থাকলে তা এখনই ত্যাগ করুন।