অযথা পোশাক কেনার এই প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। ছবি: শাটারস্টক।
আয় আর ব্যয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখতে আমরা অনেকেই ব্যর্থ হই। আয় বুঝে ব্যয় করার কথা আমাদের মাথায় থাকে না বললেই চলে। অনেক সময়েই প্রয়োজনের অতিরিক্ত খরচ করে ফেলি। জীবনে পথচলা যাতে মসৃণ হয়, তার জন্য সঞ্চয় করা প্রয়োজন। টাকা জমাতে দৈনন্দিন জীবনের যাবতীয় এলোপাথাড়ি খরচে আমাদের রাশ টানা জরুরি। আমরা যদি প্রতি দিনের খরচে খানিক কাটছাঁট করি, কিছু টাকা বেঁচেই যায়।
১) বাইরের খাবার খেতে আমরা বড্ড ভালবাসি। সুযোগ পেলেই খেতে চলে যাচ্ছি বা অ্যাপের মাধ্যমে বাইরে থেকে আনিয়ে নিচ্ছি। ফলে একসঙ্গে অনেকগুলি টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। পছন্দের খাবার খাওয়া বন্ধ না করে বরং বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন। এতে খানিকটা সাশ্রয় হয়। না হলে মাসে নির্দিষ্ট কয়েকটি দিন বেছে নিন, যাঁর বাইরে আর রেস্তরাঁয় খাবার খাওয়া চলবে না।
২) প্রয়োজনের অতিরিক্ত পোশাক কেনার প্রবণতা কমবেশি সকলেরই রয়েছে। অযথা পোশাক কেনার এই প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। পুরনো পোশাকগুলি ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে পরা যেতে পারে। পুরনো পোশাককেই নতুন কায়দায় পরে শৌখিনী হয়ে উঠতেই পারেন। ঘন ঘন অনলাইনে কেনাকাটার থেকে বিরত থাকুন। অনলাইনে নতুন নতুন জিনিসের হাতছানি লেগেই থাকে। যা প্রয়োজন, তা অবশ্যই কিনুন। প্রয়োজন ছাড়া অযথা কেনাকাটা বন্ধ করুন।
বেশির ভাগ সময়ে আমরা ঘরের আলো-পাখা নেভাতে ভুলে যাই। ছবি: শাটারস্টক।
৩) এই ব্যস্ত জীবনে যাতায়াত করতে আমরা অনেক সময়ে ট্যাক্সি ব্যবহার করি। খরচ কমাতে ক্যাবের ব্যবহার কমানো প্রয়োজন। খানিক সতর্ক থেকে আমরা যদি গণপরিবহণ ব্যবহার করি, তাতে কিন্তু মাসে অনেকটা সাশ্রয় করা সম্ভব হয়।
৪) বেশির ভাগ সময়ে আমরা ঘরের আলো-পাখা নেভাতে ভুলে যাই। মাসের শেষে বড়সড় বৈদ্যুতের বিল দেখে চোখ কপালে ওঠে। অতিরিক্ত খরচ কমাতে এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক থাকুন।
৫) মাল্টিপ্লেক্সে একটি সিনেমা দেখা মানেই অনেক খরচ। মাঝেমধ্যে যাওয়াই যায়, তবে ঘন ঘন নয়। বাড়িতেই সিনেমা হলের আমেজ তৈরি করে নিতে পারেন। অন্ধকার ঘর, পপকর্ন আর পছন্দের নায়কের ছবি— আর কী চাই!