গরমে পানীয় বাছাইয়ের আগেও থাকতে হবে সতর্ক। ছবি: শাটারস্টক।
কলকাতা গরমের দাবদাহ থেকে বাঁচতে ঘন ঘন নুন-চিনির শরবত খাচ্ছেন। তা সত্ত্বেও শরীর খারাপ করছে। রোদ মাথায় নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে অফিস পৌঁছতে পৌঁছতেই যেন ক্লান্তি ঘিরে ধরছে শরীরে। গরমে যে খুব বেশি তেলমশলাদার খাবার খাচ্ছেন, তা-ও নয়। হালকা-পাতলা খেয়েও যেন সারা দিন বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরানোর, পেশিতে টান ধরার মতো উপসর্গগুলি দেখা দিচ্ছে শরীরে। গ্লাসের পর গ্লাস জল খেলেও শরীর ঝিমিয়ে পড়ছে। এমন কিছু খাবার আছে, যা গরমের সময়ে শরীরে জলের ঘাটতি আরও বাড়িয়ে দেয়। জেনে নিন, কোন কোন খাবার গরমের দিনে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমাতে এড়িয়ে চলবেন।
নুন: অনেকেরই খাওয়ার পাতে আলাদা করে নুন খাওয়ার অভ্যাস আছে। গরমের ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে লস্যি, লেবু-নুন-চিনির শরবতে চুমুকও দিচ্ছেন। অনেকেই মনে করেন, ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বিভিন্ন খনিজ বেরিয়ে যাওয়ার ফলে একটু বেশি পরিমাণ নুন খেলে এই সময়ে কোনও ক্ষতি হবে না। এই অভ্যাস কিন্তু আদৌ ঠিক নয়। এতে শরীরে জলের ঘাটতি হয়। তাই কাঁচা নুন, নোনতা স্ন্যাক্স, নোনতা আচার, প্রক্রিয়াজাত খাবার— গরমে না খাওয়াই ভাল।
চা-কফি: গরম পড়েছে বলে চা, কফি খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে পারছেন না? এই অভ্যাসের ফলে দেহের বাড়তে থাকা তাপমাত্রা জলের ঘাটতি তৈরি করে। ডিহাইড্রেশনের সমস্যাও বাড়তে পারে। তাই এই সময়ে গরম পানীয় এড়িয়ে চলাই ভাল।
ভাজা জাতীয় খাবারও কিন্তু শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি করতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
ভাজাভুজি: চপ, পেঁয়াজি, শিঙাড়া খেতে যতই ভাল লাগুক, এই গরমে ভাজাভুজি একেবারেই খাওয়া যাবে না। ভাজা জাতীয় খাবারও কিন্তু শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি করতে পারে। এ ছাড়াও, গরমে এ সব খাবার হজম করাও বেশ কঠিন। গরমের দিনে টিফিনে বার্গার, চিকেন ফ্রাই, ফ্রায়েড মোমো এই সব না খাওয়াই ভাল।
চিনি: গরমের দিনে রোদে বাইরে বেরোলেই আইসক্রিম, বরফের গোলা, নরম পানীয় খেতে ইচ্ছা করে, তবে অতিরিক্ত চিনি খেলেও শরীরে জলের ঘাটতি হয়। গরমের দিনে মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন কেক, পেস্ট্রি, চকোলেট— এই সব না খাওয়াই ভাল।
তেলমশলাদার খাবার: গরমের দিনে বার বারই চিকিৎসকেরা তেলমশলাযুক্ত খাবার খেতে বারণ করেন। এই সময়ে হালকা পাতলা খাবার খাওয়াই ভাল। কেবল বাড়িতেই নয়, অনুষ্ঠান বাড়িতেও বুঝেশুনে খেতে হবে। রেস্তরাঁয় এই সময়ে না খাওয়াই ভাল।