মাখানা খাবেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।
অল্প খিদে পেলে মুড়ি, চিঁড়ে বা সুজি খেয়ে থাকেন অনেকেই। তবে, স্বাস্থ্য সচেতনদের মধ্যে এই খাবারগুলি তেমন জনপ্রিয় নয়। পুষ্টিবিদেরা বলেন, এই ধরনের খাবারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ অনেক বেশি। তাই ওজন বে়ড়ে যাওয়ার ভয়ে ভাত-রুটি না খেলেও ক্যালোরিতে খুব একটা হেরফের হয় না। সে দিক থেকে মাখানা কিন্তু নিরাপদ। পদ্মফুলের বীজ, ফক্স নাট বা মাখানা— তার অনেক নাম। ওজন থেকে রক্তে গ্লুকোজ়ের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ— মাখানা সবের জন্যেই ভাল। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই মাখানা উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উৎস। এই খাবারকে পুষ্টিগুণের দিক থেকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলতে পারে ঘি। শুকনো খোলায় ভাজা মাখানার উপর সামান্য ঘি, গোলমরিচের গুঁড়ো ছড়িয়ে খেতে পারলে ঠিক কী উপকার হয়?
১) পুষ্টিগুণে ভরপুর:
প্রোটিন, ফাইবার, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে মাখানায়। শুধু পেট ভরানোর জন্য নয়, স্বাস্থ্যের জন্যেও সকাল বা বিকেলের জলখাবারে চিঁড়ে, মুড়ির বদলে মাখানা রাখা যেতেই পারে।
২) হজমে সহায়ক:
ঘিয়ের সঙ্গে মাখানার যুগলবন্দি অন্ত্র ভাল রাখতে সাহায্য করে। গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় দারুণ কাজ দেয় মাখানা। এই ধরনের সমস্যায় চটপট ওষুধ না খেয়ে মাখানা খেয়ে দেখতে পারেন।
৩) ওজন নিয়ন্ত্রণে:
মাখানায় ক্যালোরির পরিমাণ কম। ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি। তাই যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন, তাঁদের জন্য এই খাবার অত্যন্ত পুষ্টিকর।
অস্টিয়োপোরোসিসের মতো রোগ ঠেকিয়ে রাখতে সাহায্য করে ঘিয়ে ভাজা মাখানা। ছবি: সংগৃহীত।
৪) হাড়ের যত্নে:
হাড় মজবুত করার প্রসঙ্গ এলে সাধারণত দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার কথাই মাথায় আসে। তবে, অনেকেই হয়তো জানেন না, মাখানাতেও কিন্তু ক্যালশিয়াম রয়েছে। আর ঘিয়ের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ডি। এই দুইয়ের যুগলবন্দি অস্টিয়োপোরোসিসের মতো রোগ ঠেকিয়ে রাখতে সাহায্য করে।
৫) শর্করা নিয়ন্ত্রণে:
মাখানার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই এই খাবার খেলে রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। সারা দিন কাজ করার মতো শক্তি জোগাতেও সাহায্য করে এই খাবার।