প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
অফিসের চাপ শেষ হল তো এসে পড়ল বাড়ির কাজ! এত সব সামলে শরীরচর্চার জন্য ভাল করে সময় বার করাটাই মুশকিল হয়ে যায়। ফলে একদিন ভাল মতো ব্যায়াম করলেন তো পরের কয়েকটা দিন করাই হল না। এই ভাবে বাদ পড়ে গেলে কিন্তু কোনও লাভ হয় না! তাই ব্যায়াম করার জন্য মাত্র ৭ মিনিট বার করুন! ঠিক ভাবে মাত্র এই কয়েকটি মিনিটে শরীরচর্চা করলেই ভাল থাকবে শরীর।
কী উপকার হয় এই সাত মিনিটের ব্যায়ামে?
কম সময়ের মধ্যে এই শরীরচর্চায় কিন্তু দারুণ উপকার পাওয়া যায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে শরীরচর্চার সময় শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পেশিসমূহ যাতে ঠিক মতো কাজ করে। বাড়িতে অনায়াসেই এই ব্যায়ামগুলি করতে পারবেন। কম সময়ের এই শরীরচর্চায় শরীরের একটি পেশিসমূহকে ব্যবহার করার সময়, অন্য গুরুত্বপূর্ণ পেশিসমূহটিকে বিশ্রাম দেওয়া সম্ভব। এর ফলে শরীর-স্বাস্থ্যের সার্বিক উন্নতি তো হয়ই এবং মেদও ঝরে যায়। তবে রোজ নয়, এক দিন অন্তর এই ব্যায়াম করুন। সপ্তাহে কয়েকদিন এই ভাবে করলেই আপনি ফল পাবেন। তবে যেহেতু এগুলি ‘হই ইন্টেনসিটি ওয়র্কআউট’, তাই করার আগে এক বার চিকিৎসককে দেখিয়ে নিন। আর কোনও ব্যায়ামই ৩০ সেকেন্ডের বেশি করবেন না।
প্রতীকী ছবি।
সাত মিনিটে কী কী ব্যায়াম করতে হবে?
জাম্পিং জ্যাক, ওয়াল সিট, পুশ-আপ, ক্রাঞ্চ, স্টেপ-আপ, স্কোয়াট, ট্রাইসেপ ডিপস, প্লাঙ্ক, হাই নিজ, লাঞ্জ, পুশ আপ উইথ রোটেশন, সাইড প্লাঙ্ক— এই অনুক্রমে ১২টি ব্যায়াম করতে হবে। জাম্পিং জ্যাক করলে পুরো শরীরেরই ব্যায়াম হয়। ওয়াল সিট, স্টেপ আপ, স্কোয়াট ও লাঞ্জ করলে কোয়াডস, হ্যামস্ট্রিং ও গ্লুটসের পেশি উপকৃত হয়। পুশ-আপের ফলে কাঁধ, বুক ও ট্রাইসেপস ভাল থাকে। ক্রাঞ্চ ও ট্রাইসেপ ডিপস করলে অ্যাবসের উপকার হয়। গ্লুট, হাত ও অ্যাবস ভাল থাকে প্লাঙ্ক করলে। হাইনিজের ফলে পায়ের ভাল ব্যায়াম হয়। পুশ-আপ উইথ রোটেশন এই ব্যায়ামটির বুক, কাঁধ, ট্রাইসেপ ও গ্লুটস ভাল রাখে।
কী ভাবে করবেন?
একটি টাইমার বা স্টপওয়াচ ডাউনলোড করে নিয়ে এই অনুক্রমে ব্যায়ামগুলি করতে হবে। প্রতিটি ব্যায়াম ৩০ সেকেন্ড ধরে করুন। এই সময়ে যতবার করা সম্ভব ততবার আবর্তন করতে পারেন। খুব তাড়াহুড়ো করবেন না। প্রত্যেকটি ব্যায়ামের মধ্যে ৫ সেকেন্ডের বিরতি নিন।