কোঁকড়া চুলের সাজে প্রয়োজন ঘরোয়া কিছু যত্ন। ছবি: শাটারস্টক।
শীত আসা মানেই হইহই করে রুটিনে ঢুকে পড়বে পিকনিক, আড্ডা, বেড়াতে যাওয়া আর পার্টি। আর এই সব ক্ষেত্রেই সাজগোজ একটা বড় বিষয়। বাড়ির ঘরোয়া পার্টি হোক কিংবা পরিচিতের হোস্ট করা পার্টিতে নিমন্ত্রণ, ভিড়ের মাঝে আলাদা করে নজরে পড়ার জন্য সাজগোজের দিকটি অবহেলা করা যাবে না মোটেই।
তা বলে কি খুব জমকালো পোশাক আর মারকাটারি মেক আপ ছাড়া নজরে আসার উপায় নেই? আলবাত আছে। হালকা সাজের মধ্যে চুলের কায়দাকে একটু রদবদল ঘটিয়ে নিলেই সে দিনের সো স্টপার আপনিই! চুল ছোট হোক বা লম্বা, কোঁকড়ানো চুল মুখের গড়নটাই অনেকটা পাল্টে দেয়। আজকাল কার্লার দিয়ে চুল কার্ল করা তবে অনেকের চুলই কার্লারের কার্ল বেশি ক্ষণ ধরে রাখতে পারে না। সামান্য ঘাম হলেই চুলের নিজস্ব রূপ সামনে এসে পড়ে।
তবে শত ব্যস্ততার মাঝেও খুব অল্প সময়েই চুলের এমন যত্ন নেওয়া সম্ভব, যার প্রভাবে চুলে কার্ল ধরবে সহজে, টিকবেও দীর্ঘ ক্ষণ। যাঁদের প্রকৃতিগত ভাবে কোঁকড়া চুল, তাঁরাও এই নিয়মে যত্ন নিতে পারেন চুলের। কী ভাবে যত্ন নেবেন কোঁকড়া চুলের, রইল তার হদিশ ।
আরও পড়ুন: ডায়াবিটিস রুখতে প্রোটিন ইঞ্জেকশনের ভাবনা ভারতীয় গবেষকদের! কতটা কার্যকর?
চুলের গোড়া থেকে যে প্রাকৃতিক সেরাম নিঃসৃত হয় তা কোঁকড়া চুলের ক্ষেত্রে গোড়া পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না। ফলে চুলে রুক্ষ ভাব আসে। চুল রুক্ষ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে শ্যাম্পুর আগে ভাল করে কন্ডিশনিং করে নিন। যে দিন চুল কার্ল করবেন, সে দিনও মেনে চলুন এই নিয়ম। চুল কার্ল করতে চাইলে এই দিন স্নানের পর চুল মোছার জন্য গামছা বা খসখসে তোয়ালে ব্যবহার না করে বেছে নিন মাইক্রো ফাইবারের নরম তোয়ালে। ব্যবহার করতে পারেন সুতির গেঞ্জি কাপড়ের টি শার্ট বা টপ । যাঁদের প্রকৃতিগত ভাবে কোঁকড়া চুল, তাঁরাও মেনে চলুন এই নিয়ম।
আরও পড়ুন: জগিং বা দৌড়ের জেরে পেশীর চোট-আঘাত কাটিয়ে উঠবেন কী ভাবে
যাঁদের কোঁকড়া চুল, তাঁরা প্রতি দিন ঘুমতে যাওয়ার সময় চুলে সাটিনের একটা স্কার্ফ জড়িয়ে শুতে যান। এতে চুলের ডগা ঘষা খায় না, ফলে স্প্লিট এন্ড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। বিনুনি করে ঘুমাতে গেলে শেষ অংশটুকু গুটিয়ে বেঁধে নিন । কার্স করার পরিকল্পনা থাকলে শ্যাম্পু, কন্ডিশনার বা অয়েল মাসাজ করার আগে পুরো চুল কয়েকটা ভাগে ভাগ করে ক্লিপ করে নিন। এতে পুরো চুলে ভাল ভাবে মাসাজ করতে পারবেন। সার্বিক ভাবে চুল ভাল রাখতে চাইলে হেয়ার স্ট্রেটনার, ব্লো ড্রায়ারের ব্যবহার কমান। এ সব চুলের ব্যাপক ক্ষতি করে। একান্তই যদি ব্যবহার করতে হলে লাগিয়ে নিন হেয়ার ডিফিউজার।