সুস্থ থাকতে কমলালেবু রাখুন ডায়েটে। ছবি: আইস্টক।
শীতের অন্যতম খাবার কমলালেবু। কেবল স্বাদই নয়, স্বাস্থ্যের কারণেও এই মরসুমি ফলকে ডায়েটে রাখতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। কমলালেবুর বিশেষ কিছু গুণ শরীরকে তরতাজা রাখতে সাহায্য করে।
পুষ্টিবিদ সুমেধা সিংহের মতে, “কমলালেবু যেমন মরসুমি ফলের ভূমিকা পালন করে, তেমনই শীতে স্ট্রোক রুখতে, ওবেসিটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে ও শরীরে ফাইবারের চাহিদা মেটাতে খুবই কাজে আসে। কমলালেবুর গুণাগুণ নিয়ে দেশ-বিদেশের বহু সংস্থাই গবেষণা করছে। আমেরিকান জার্নাল অব এপিডেমিওলজি যেমন দাবি করেছে শিশুকে ৬ মাসের পর থেকে ২ বছর অবধি শীতকাল জুড়ে কমলালেবুর রস খাওয়ালে তার লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।”
আর কী কী উপকার মেলে কমলালেবুতে?
ফাইবারের পরিমাণ বাড়লে রক্তে ইনসুলিনও বাড়ে। একটি মাঝারি আকারের কমলালেবুতে ৩ গ্রাম ফাইবার থাকে। ফলে ইনসুলিনের পরিমাণ বেড়ে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে কমলালেবু। কমলালেবুতে মেলে ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, কোলিন। এগুলি হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে বিশেষ উপকারে আসে। হৃদযন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে, হৃদস্পন্দনের গতি ঠিক রাখতে এই উপাদানগুলির ভূমিকা অনেক। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা অনুসারে নিয়মিত কমলালেবু বা আঙুর জাতীয় ফল খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলের পথকে মসৃণ ও অনুকূল করতে কমলালেবু ও আঙুর জাতীয় ফলের পটাশিয়াম ও কোলিন কাজে আসে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও লেবুর পটাশিয়াম সোডিয়াম সাহায্য করে। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ডায়েটে রাখা হয় কমলালেবু। ত্বক ও চুলের যত্নের জন্য প্রয়োজনী ভিটামিন সি। চুলের বৃদ্ধি, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য এ সব ধরে রাখতে ভিটামিন সি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কমলালেবুতে ভিটামিন সি-এর প্রাচুর্য রয়েছে। তাই ত্বক ও চুলের যত্নে বিশেষ উপকারী এই ফল।