পায়ের অযত্নেই বাড়ে কড়ার প্রভাব। ছবি: আইস্টক।
সারা দিনের দৌড়ঝাঁপের মধ্যে নজর এড়িয়ে যায় তার থেকেই যে কিনা দৌড়ঝাঁপে সঙ্গ দেয়। রূপচর্চার সময় একে ব্যস্ত যুগের হাতে নেই, যাও বা পড়ে পাওয়া চোদ্দো আনা মেলে, তাতে কিন্তু পা বরাবরই ব্রাত্য। নিয়ম করে পেডিকিওরকেই মনে করি যথেষ্ট। কেউ বা সেটুকুর ফুরসতও পান না। ফলে স্রেফ ফুটক্রিম পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় শ্রীচরণকে।
বর্ষাকালে এমনিতেই পায়ের উপর বাড়তি চাপ যায়। সারা রাস্তার কাদা, নোংরা জল মাড়িয়ে পায়ের ত্বকে সংক্রমণও দেখা দেয়। তাই প্রতি দিন নিয়ম করে পায়ের যত্ন প্রয়োজন। এ ছাড়াও পায়ের আরও যে সমস্যা প্রায় সারা বছরই কমবেশি ভোগায় তার নাম কড়া।
কড়া কেন পড়ে— এর উত্তর পেতে গেলে যে মূল বিষয়গুলি উঠে আসে, সে সব হল:
১) এক নাগাড়ে পা ঝুলিয়ে বসা।
২) নানা মাপের ও নানা ডিজাইনের জুতো ব্যবহার করা।
৩) হিলের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি।
৪) অসমান পথে হাঁটাহাঁটি ও পায়ে চাপ পড়ে এমন কাজ করে চলা।
আরও পড়ুন: বর্ষায় হানা দেয় পেটের নানা সমস্যা, কী কী করলে এই সমস্যা থেকে দূরে থাকবে সন্তান?
এ সবের ফলে পায়ের পায়ের উপর প্রবল চাপ পড়ে। ফলে যে অংশটিতে বেশি চাপ পড়ছে, সেখানে মরা চামড়া জমে জমে কড়া তৈরি হয়। অবহেলা করলে কড়া সারাতে অস্ত্রোপচার পর্যন্ত প্রয়োজন হতে পারে। তাই প্রথম থেকেই সচেতন হোন। বাড়িতেই নানা উপায়ে কড়া কেটে ফেলা বা চামড়া ছিঁড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন অনেকেই। এতে পা জখমও হতে পারে। তাই এ সব বদভ্যাসের পাল্লায় পড়বেন না। বরং ঘরোয়া কিছু নিয়মেই আয়ত্তে আনতে পারেন তা। রইল টিপ্স।
পেডিকিওরে পায়ের নিয়মিত যত্ন হয় বলে কড়া বাসা বাঁধতে পারে না।
গরম জলে পা: প্রতি দিন বাড়ি ফিরে ভাল করে পা ধোওয়ার পর অন্তত দশ মিনিট গরম জলে পা ডোবান। এতে কড়া পড়লে সেই জায়গাটা নরম হয়ে যাবে। এ বার পা শুকনো করে মুছে কড়ার এলাকায় আঙুলের হালকা চাপ দিয়ে ঘষুন। এমন করলে দিন কয়েকের মধ্যেই ঘষার সময় কড়ার জায়গার মরা চামড়া উঠে আসবে সহজে। এর পর লাগান ফুট ক্রিম। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই ক্রিম বাছুন।
পা জল থেকে দূরে: খুব বেশি ক্ষণ জোলো জায়গায় ঘোরাফেরা করবেন না। জল লাগলেও তা ভাল করে মুছে ফেলুন। পা যত কম আর্দ্র থাকবে ততই কড়ার পক্ষে ভাল। তবে ভিজে জুতো-মোজা পরা যাবে না একেবারেই।
আরও পড়ুন: বর্ষায় জামাকাপড় শুকোতে সমস্যা? পোশাকে ছত্রাক হানা? রইল উপায়
পেডিকিওর: পার্লারে গিয়ে পেডিকিওর করানোর সুঅভ্যাস ও সময় দুই-ই থাকলে তো মিটেই গেল। পেডিকিওরে পায়ের নিয়মিত যত্ন হয় বলে কড়া বাসা বাঁধতে পারে না। পার্লারে যাওয়ার সময় না পেলে অন্তত বাড়িতেই কিছুটা যত্ন নিন পায়ের।
জুতো: পায়ের স্বাস্থ্যের জন্য কোন ধরনের জুতো উপকারী, সে পরামর্শ চিকিসকের থেকে নিন। ডক্টর’স শু পরা ভাল কিন্তু ঠিক কোন ধরনের শু আপনার পায়ের জন্য উপকারী, তা না জেনে জুতো কিনবেন না। হিল পরায় কড়ার সমস্যা বাড়ে। তাই কড়া থাকলে এড়িয়ে চলুন পা-কে কষ্ট দেওয়া জুতো।