ধুলোবালি থেকে অ্যালার্জি এড়াতে ভরসা রাখুন কিছু ঘরোয়া উপায়ে। ছবি: শাটারস্টক।
রাস্তাঘাটে বেরনো কিংবা ঘরদোর পরিষ্কার, যে কাজই করুন না কেন, হেঁচে-কেশে একসা! ধুলোবালির প্রভাবে অ্যালার্জি থাকলে এমনটা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কারও কারও ক্ষেত্রে চোখ থেকে অনবরত জল পড়াও ডাস্ট অ্যালার্জির অন্যতম লক্ষণ।
সাধারণত, ধুলোর মধ্যে থাকা নানা আনুবীক্ষণিক জীবের হানায় এমনটা হয়ে তাকে। বাড়াবাড়ি রকমের অ্যালার্জি থাকলে শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে অনেকের, ত্বকে র্যাশও দেখা যায় কোনও কোনও ক্ষেত্রে।
এই রোগের শিকার হলে চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া জরুরি। বিশেষ কিছু ওষুধপত্র খেলে ও নিয়ম মেনে চললে এই অসুখকে অনেকটা কব্জা করা যায়। তবে চিকিৎসার পাশাপাশি খাবার পাতেও রাখতে হবে এমন কিছু উপাদান, যা অ্যালার্জির সমস্যার সঙ্গে লড়তে সক্রিয় করবে। দেখে নিন ঘরোয়া উপায়ে কী ভাবে ঠেকাবেন এই সমস্যা।
আরও পড়ুন: গ্লুকোমা: নিঃশব্দ অন্ধত্বের প্রধান কারণ
গ্রিন টি-র অভ্যাস রপ্ত করুন।
গ্রিন টি: প্রতি দিন চা-কফির অভ্যাসে রাশ টানুন। দিনে দু’-তিন বার গ্রিন টি-তে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন। এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট অ্যালার্জির সমস্যার সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে। চোখে লাল ভাব, র্যাশ বেরনো ইত্যাদি রুখতে এটি বিশেষ কার্যকর।
ইউক্যালিপটাস: মাথা যন্ত্রণা, নাক দিয়ে জল পড়া ইত্যাদির হানা রুখতে এক বাটি গরম জলে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল ফেলে তার ভাপ নিন। এতে বন্ধ নাক খোলে, নাকের ভিতরে অ্যালার্জির কারণে কোনও প্রদাহ হলে তা থেকেও রেহাই মেলে।
দুগ্ধজাত পদার্থ: খাওয়ার পাতে রাখুন টক দই, ছানা, লস্যি। এদের প্রোবায়োটিক উপাদান অসুখের জীবাণুর সঙ্গে যেমন লড়ে, তেমনই শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। সুতরাং, ধুলোবালি থেকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
আরও পড়ুন: ডায়াবিটিক অথচ পায়ের যত্ন নিচ্ছেন না, কী ক্ষতি করছেন জানেন?
ঘিয়ের অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল ক্ষমতা রুখে দেয় অ্যালার্জি।
ঘি: প্রাকৃতিক ভাবেইযে কোনও অ্যালার্জি বা প্রদাহের সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম এই খাবার। এক চামচ খাঁটি ঘি তুলোয় ফেলে তা সরাসরি লাগান র্যাশে। আরাম মিলবে সহজে। এক চামচ করে ঘি খেলেও ঠান্ডা লাগা বা অ্যালার্জির প্রবণতা কমবে।
সবুজ শাকসব্জি: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সঙ্গে অ্যালার্জির প্রবণতা কমাতে গেলেও পাতে রাখুন সবুজ শাকসব্জি। শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজের ভাণ্ডারও এই সবুজ শাক-সব্জি থেকে সহজেই মেলে।