ছবি: শাটারস্টক।
সন্তানসম্ভবা মানেই তার নড়াচড়া বন্ধ। আমাদেরবদ্ধমূল ধারণা এমনই। কিছু কিছু পরিবারে সন্তানসম্ভবা মায়েদের কুটোটাও নাড়তে হয় না। বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন,এই অভ্যাসই ডেকে আনছে বিপদ। গোড়াতেই থেকে যাচ্ছে ভুল। নিজেকে এবং সন্তানটিকে সুস্থ রাখতে বরং জরুরি মায়ের সক্রিয়তা।
আধুনিক চিকিৎসকরা বলছেন, গর্ভাবস্থায় নানা কারণে ওয়ার্কআউট করা দরকার। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ মৃদুলা পুরকায়স্থ বলছেন,“গর্ভাবস্থায় মায়েদের নানা মানসিক সঙ্কট তৈরি হয়। দশ মিনিটের ওয়ার্কআউট এখানে ওষুধের কাজ করবে। আর শারিরীক পরিশ্রম একজন মায়ের পেশীগুলিকে অনেক বেশি নমনীয় করে তুলবে, সন্তানের জন্ম দেওয়ার সময়ে এটা অবশ্যই একটা সুবিধাজনক অবস্থান।”
শুধুই কি তাই? মায়ের শারীরিক সক্রিয়তা গর্ভস্থ শিশুকে চাঙ্গা রাখবে। তার মেদও বাড়তে দেবে না মায়ের ওয়ার্ক আউট। এমনই চমকপ্রদ তথ্য তুলে ধরছেন ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক। তবে আর পাঁচটা সময়ে যে ধরনের ব্যায়াম একজন সাধারণ মানুষ করেন, সন্তানসম্ভবাদের ততটা পরিশ্রম করতে বারণ করছেন চিকিৎসকেরা। বরং তাঁরা জোর দিচ্ছেন 'লো ইমপ্যাক্ট' ব্যায়ামে। যেমন হালকা সাইক্লিং, সাঁতার, চিকিৎসক ও ফিটনেস বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে করা যোগা, হালকা অ্যারোবিকস, স্ট্রেচিং এইগুলি তালিকাভুক্ত হতে পারে। কিন্তু কতটা পরিশ্রম শরীর সইবে? মৃদুলাদেবীর কড়া বার্তা, সপ্তাহে ১৩০-১৫০মিনিটের বেশি নয়।
আরও পড়ুন: অনিয়ম, অনিদ্রা, কোলেস্টেরল ডেকে আনছে অকালেই বাইপাস, সুস্থ থাকতে পাতে রাখুন এ সব খাবার
গর্ভাবস্থায় কোনও রকম জটিলতা থাকলেও অনেক সময় ব্যায়াম বা যোগার শরণ নিতে বলেন চিকিৎসকরা।
একই সঙ্গে রয়েছে কিছু কড়া সতর্কবার্তাও। যেমনঅতীতে গর্ভপাত হয়েছে এমন মায়েদের কখনওই ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয়। পেশীতে আড়ষ্টভাব, বুক ধড়ফড়, শ্বাসের সমস্যা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও অবশ্যই ব্যায়াম থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়। তবে মৃদুলা দেবীর মতে, গর্ভাবস্থায় কোনও রকম জটিলতা থাকলেও অনেক সময় ব্যায়াম বা যোগার শরণ নিতে বলেন চিকিৎসকরা। তবে ব্যায়াম বা যোগা কখনওই একার সিদ্ধান্তে করবেন না। বরং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই যোগব্যায়াম করুন।
আরও পড়ুন: ফ্যাটি লিভার, সিরোসিসকে ভয়? কেবল খাদ্যাভ্যাসে বদল যথেষ্ট নয়, মানতে হবে এ সবও