চিকিৎসকরাও বারবার অভয় দিয়েছেন, চোখ ফরফর করার সমস্যা নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। ছবি: সংগৃহীত
আপনি যে অন্তঃসত্ত্বা তা বুঝবেন কী করে? বেশির ভাগ মহিলা এই সময় হঠাৎই বেশি ক্লান্ত বোধ করেন। কিংবা সকাল সকাল তাঁদের গা গুলিয়ে ওঠে, বমির প্রবণতা বেড়ে যায়। কোনও নির্দিষ্ট খাবারের গন্ধ হয়তো সহ্য হয় না। পাশাপাশি যদি তাঁরা দেখেন নির্ধারিত সময়ে ঋতুস্রাব হচ্ছে না, তখন তাঁরা প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট কিনে বাড়িতেই পরীক্ষা করে দেখেন। তাতেই বোঝা যায়, কেউ অন্তঃসত্ত্বা কি না। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন তাঁদের চোখ ফরফর করার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই কয়েক দিন ধরে যদি দেখেন, চোখ বেশি নাচছে, তা হলে হতেই পারে আপনি অন্তঃসত্ত্বা।
চোখ নাচা বা ফরফর করার সমস্যা দেখা যায় অনেক অন্তঃসত্ত্বা মহিলারই। কিন্তু এই উপসর্গ নিয়ে খুব একটা সচেতনতা নেই। তার একটি কারণ অবশ্য হতে পারে যে, এ এমন কিছু গুরুতর বিষয় নয়। চিকিৎসকরাও বারবার অভয় দিয়েছেন, চোখ ফরফর করার সমস্যা নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মেয়েরা স্বাভাবিক ভাবেই একটু বেশি ক্লান্ত বোধ করেন।
কিন্তু কেন চোখ ফরফর করে এ সময়ে? আমেরিকার স্বাস্থ্য পত্রিকা ‘হেল্থলাইন’এ প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র অনুযায়ী, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় চোখ ফরফর করার কিছু কারণ হল—
১। মানসিক চাপ
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মেয়েদের মানসিক চাপ যে বাড়ে, সে কথা নতুন করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। শরীরে নানা রকম বদল আসে এই সময়। তাই মানসিক ভাবে খানিক চিন্তিত হয়ে পড়াই স্বাভাবিক। সেই থেকেই চোখ বেশি ফরফর করতে পারে।
২। ক্লান্তি
শরীরে আরেকটা প্রাণ নিয়ে ঘোরাফেরা করা সহজ নয়। তাই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মেয়েরা স্বাভাবিক ভাবেই একটু বেশি ক্লান্ত বোধ করেন। সেই থেকেই বাড়তে পারে চোখ নাচার সমস্যা।
৩। ভিটামিনের অভাব
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় হবু সন্তানের সুস্থ স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য মেয়েদের কিছু ভিটামিন এবং মিনারেলের ওষুধ খেতে হয়। কিন্তু তার পরেও যদি পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের অভাব দেখা দেয়, তা হলে চোখে ফরফর করতে পারে।
৪। চোখের উপর চাপ
অনেক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এ সময়ে সারাক্ষণই প্রেগন্যান্সি নিয়ে নানা রকম তথ্য জোগাড় করেন। হয় তাঁরা ফোনের পর্দায় কিছু পড়ছেন, কিংবা ল্যাপটপে কিছু গুগল করছেন, কিংবা এই সংক্রান্ত কোনও বই পড়ছেন। এতে চোখের উপর চাপ সৃষ্টি হয়। সেই থেকেও চোখের পেশি দুর্বল হয়ে গিয়ে ফরফর করতে পারে।