টুইটার নিয়ে ইলন মাস্কের পরের পদক্ষেপ কেমন হবে ছবি: সংগৃহীত
টুইটার কিনতে আমেরিকার ধনকুবের ইলন মাস্ক দর দিয়েছেন ৪৪০০ কোটি মার্কিন ডলার। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ অর্থের অধিকাংশই ব্যাঙ্ক ঋণ থেকে এসেছে বলে খবর। সূত্রের খবর অনুযায়ী, টুইটার কিনতে মোট ২৫৫০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ নিয়েছেন ইলন। এর মধ্যে ১৩০০ কোটি মার্কিন ডলার তিনি ঋণ নিয়েছেন টুইটারে মালিকানা দেখিয়ে আর ১২৫০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ নিয়েছেন টেসলাতে নিজের অংশীদারিত্ব দেখিয়ে।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
টুইটার কিনতে সক্ষম হলেও এই বিপুল ঋণ মাস্ক কী ভাবে মেটাবেন, তা নিয়ে নিশ্চিত নন কেউই। তবে শোনা যাচ্ছে, টুইটারকে আরও অর্থকরী বানাতে একাধিক পদ্ধতি বাতলেছেন তিনি। প্রথমেই শীর্ষ আধিকারিকদের বেতন কমানোর দাওয়াই দিয়েছেন মাস্ক। তা ছাড়া, উপার্জন বৃদ্ধির জন্য টুইটারে নতুন কিছু বৈশিষ্ট্যও যোগ করতে চান তিনি। পাশাপাশি, যদি কোনও টুইট ভাইরাল হয়ে যায় কিংবা বাইরের কোনও সংস্থা কোনও টুইট উদ্ধৃত করতে চায়, তবে তার জন্যও দিতে হতে পারে টাকা। মাস্ক টুইটারকে বিজ্ঞাপন নির্ভর করতে চান না বলেও খবর। ইতিমধ্যেই ‘টুইটার ব্লু’ নামক একটি প্রিমিয়াম পরিষেবা চালু রয়েছে টুইটারে। এই পরিষেবাটি মাস্ক আরও জোরালো করতে চান বলে গুঞ্জন উঠেছে। আর গোটা বিষয়টি সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে মাস্ক নিজের পছন্দের সিইও নিয়োগ করতে চান বলেও খবর। তবে আইনগত বাধ্যবাধকতার কারণে আপাতত মুখে কুলুপ এঁটেছেন তিনি।
আর্থিক দিক থেকে বদল আনার পাশাপাশি মাস্ক ভুয়ো টুইটার অ্যাকাউন্ট নির্মূল করতেও বেশ কিছু ব্যবস্থা নিতে পারেন বলে খবর। তবে কী ভাবে ঠিক ব্যবস্থাটি চালু করা হবে, তা নিয়ে নিশ্চিত নন কেউ। কারও মতে, আসল মানুষ চিহ্নিত করতে ‘ক্যাপচা’ জাতীয় পদ্ধতি ব্যবহৃত হতে পারে। কারও মতে আবার টুইটার যে ভাবে নীল টিক চিহ্ন প্রদান করে, সেই একই পদ্ধতিতে সব টুইটার ব্যবহারকারীকে নিজের অ্যাকাউন্ট যাচাই করাতে হতে পারে বলে খবর।