সহজ উপায়েই কমিয়ে ফেলতে পারেন বিদ্যুতের খরচ। ছবি: সংগৃহীত
করোনাকালে বাড়ি থেকে বেরোনো কমে গিয়েছে। ২৪ ঘণ্টা চলছে ফ্যান। বহু ক্ষণ জ্বলছে আলো। তাতেই খরচ বাড়ছে বিদ্যুতের।
কিন্তু অভ্যাসে কয়েকটি বদল খুব সহজেই কমিয়ে দিতে পারে এই খরচ। দেখে নেওয়া যাক, সেগুলি কী কী।
ওয়াশিং মেশিন ভর্তি করে ব্যবহার: ওয়াশিং মেশিনে অনেক জামাকাপড় একসঙ্গে কাচতে গেলে বিদ্যুতের খরচ বেড়ে যায়— অনেকে এমন ভাবেন। আসলে উল্টোটাই হয়। ওয়াশিং মেশিনে ১টি জামা কাচতে যতটা বিদ্যুৎ খরচ করতে হবে, একসঙ্গে ১০টি জামা কাচতেও একই পরিমাণ বিদ্যুৎ লাগে। অর্থাৎ ওয়াশিং মেশিনে ঠেসে জামাকাপড় কাচতে গেলে বিদ্যুতের খরচ বাড়ে না। বরং বারবার মেশিন ব্যবহার করলে সেটি হয়। তাই পরা জামাকাপড় জমিয়ে রাখুন। সপ্তাহান্তে তা একসঙ্গে কেচে নিন।
চার্জার বন্ধ: অনেকেই মোবাইল চার্জ দেওয়া হয়ে গেলেও প্লাগের সুইচ বন্ধ করেন না। চার্জার থেকে মোবাইল ফোনটি খুলে নেওয়ার পরেও চার্জারটি প্লাগে লাগিয়ে রাখেন, আর সুইচও অন থাকে। বেশির ভাগেরই ধারণা এতে বিদ্যুৎ খরচ হয় না। কথাটা ঠিক নয়, অল্প পরিমাণে বিদ্যুৎ খরচ হতে থাকে এতে।
মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার: এই যন্ত্রে রান্না করা বা খাবার গরম করা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল কি না, তা নিয়ে কিছু প্রশ্ন আছে। কিন্তু এই যন্ত্র বিদ্যুতের সাশ্রয় করতে পারে। খাবার গরম করতে তো বটেই, রান্না করতেও এই যন্ত্র ব্যবহার করতে পারেন। তাতে গ্যাস এবং হিটার ব্যবহারের চেয়ে কম খরচে কাজ সেরে ফেলা যাবে।
এসি-র কাছে অন্য যন্ত্র নয়: যে ঘরে এসি আছে, সেই ঘরে অন্য যন্ত্র রাখবেন না। বা এসি চালানোর সময় সেই যন্ত্র ব্যবহার রাখুন। বিশেষ করে ফ্রিজ বা পুরনো টেলিভিশন থেকে প্রচণ্ড উত্তাপ তৈরি হয়। এই উত্তাপ ঠান্ডা করতে এসি প্রচুর বিদ্যুৎ খরচ করে। তাতে বেড়ে যায় ইলেকট্রিক বিল।
ঘরে গাছ: গ্রীষ্মে ঘরের ভিতরে এমন গাছ রাখুন, যা স্বল্প আলোয় বেঁচে থাকতে পারে। এতে ঘরের ভিতরের তাপমাত্রা কমবে। দুপুরেও গরম কম লাগবে। তাতে পাখা এবং এসি-র ব্যবহার কমবে। বাঁচবে বিদ্যুৎ।