‘ই-নাগেটস’ নামে একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকদের টাকা হাতিয়ে নিতেন আমিররা। ছবি-প্রতীকী
শনিবার সকাল থেকে চলা ইডি অভিযানে কলকাতার ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়ি এবং অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। অভিযোগ, একটি অনলাইন গেমের মাধ্যমে প্রতারণা করতেন তিনি। গোটা ঘটনায় ফের উঠে এসেছে অনলাইন প্রতারণার বিষয়টি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অল্প সময়ে টাকা কমানোর প্রলোভন দেখানো এ সব খেলার ফাঁদে পা দিয়ে প্রতিনিয়ত নিঃস্ব হন বহু মানুষ। তাই সময় থাকতে হতে হবে সতর্ক।
ইডির দাবি, ‘ই-নাগেটস’ নামে একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকদের টাকা হাতিয়ে নিতেন আমিররা। প্রাথমিক ভাবে ওই অ্যাপের মাধ্যমে খেলায় অংশগ্রহণকারী গ্রাহকেরা কমিশন পেতেন। অ্যাপটির মাধ্যমে অনায়াসে সেই টাকা তুলতেও পারতেন প্রথম প্রথম। অভিযোগ, এ ভাবে আরও বেশি লাভের আশায় গ্রাহকেরা বড়সড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করলে আচমকাই বন্ধ হয়ে যেত টাকা তোলার ব্যবস্থা।
সাইবার বিশারদ বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সাধারণ মানুষকে মনে রাখতে হবে সব ধরনের গেম খেলা আইনসিদ্ধ নয়।” ভারতে এখনও এই ধরনের অপরাধের জন্য তেমন কোনও কড়া আইন না থাকলেও মোটামুটি ভাবে এ কথা মনে রাখতে হবে, যে ধরনের খেলাতে কোনও বিশেষ কলা বা দক্ষতার প্রয়োজন নেই, গোটাটাই ভাগ্য সেই খেলাগুলি অধিকাংশ সময়েই বেআইনি হয়। এই ধরনের খেলার ফাঁদ চিনবেন কী ভাবে? “দেখতে হবে খেলাটি খেলতে কি আদৌ কোনও বিশেষ দক্ষতা প্রয়োজন হচ্ছে? মাথা খাটিয়ে খেলতে হচ্ছে? নাকি পুরোটাই জুয়া। সহজে কোনও জিনিস পাওয়া গেলেই হতে হবে সতর্ক,” বক্তব্য সাইবার বিশারদের।
প্লে স্টোরে কোনও অ্যাপ পাওয়া যাচ্ছে মানেই যে সেই অ্যাপ বৈধ, এমন ধারণা ঠিক নয় বলেই জানান বিভাস। তাঁর পরামর্শ, “যে কোনও অনলাইন বেটিং অ্যাপই এড়িয়ে চলা উচিত। যেখানেই অতিরিক্ত লাভের প্রলোভন রয়েছে, সেগুলি এড়িয়ে চলাই ভাল।” পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, এই ধরনের গেম কারা চালাচ্ছেন, কোথা থেকে টাকা আসছে, তা অধিকাংশ সময়ই গ্রাহকরা জানেন না। এ ধরনের গেম থেকে পাওয়া টাকার ইনকাম ট্যাক্সও দেন না গ্রাহকরা। সে ক্ষেত্রে এই টাকা বেআইনি বলেও গণ্য হতে পারে। অর্থ চুরির সঙ্গে সঙ্গে এই ধরনের অ্যাপ ফোনে ইনস্টল করলে বহু তথ্যও চুরি হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেন সাইবার বিশারদ।