শেষ পাতে খাওয়া ছাড়াও, দই আরও অনেক কিছু করা যেতে পারে। ছবিঃ সংগৃহীত।
গরমে বাঙালির ফ্রিজে আর কিছু থাক আর না থাক, দই থাকেই। দুপুরে ডাল, ভাত, আলু ভাজা হলেও শেষ পাতে দই না খেলে মনটা খুঁতখুঁত করে। তা ছাড়া দই শরীরের যত্ন নেয়। নিয়ম করে দই খেতে পারলে অনেক রোগবালাই এমনিই সেরে যায়। এর বাইরে, ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখতেও পুষ্টিবিদরা নিয়মিত দই খাওয়ার কথা বলে থাকেন। তাই দই ফুরিয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তা কিনে বাড়িতে মজুত করে রাখেন অনেকেই। তবে শেষ পাতে খাওয়া ছাড়াও, দই আরও অনেক কিছু করা যেতে পারে। দইয়ের অন্য ব্যবহারগুলি জেনে রাখা জরুরি।
ঝোল ঘন করতে
বাড়িতে অতিথি আসবেন। মাংস রেঁধেছেন। কিন্তু ঝোলটা বড্ড পাতলা হয়ে গিয়েছে। অতিথিকে তো মাংসের পাতলা ঝোল দেওয়া যায় না। তবে পাতলা ঝোল ঘন করার রাস্তা খুঁজে সময় নষ্ট না করে, আধ কাপ মতো দই রান্নায় দিয়ে দিন। রান্নার স্বাদও বদলে যাবে। আবার ঝোলও ঘন হবে।
লস্যি বানাতে পারেন
ঘেমেনেয়ে ক্লান্ত হয়ে স্কুল থেকে ফিরেছে খুদে। এসেই ঠান্ডা জল খেতে চাইছে। ফ্রিজের ঠান্ডা জল শিশুদের কখনও দেওয়া উচিত নয়। শিশুকে শান্ত করতে ফ্রিজে থাকা দই দিয়ে বানিয়ে দিন লস্যি। খুশি হবে খুদে।
রায়তা
রাতে অফিস থেকে ফিরে আর রাঁধতে ইচ্ছে করছে না। তাই সকলের পছন্দমতো মটন বিরিয়ানি অর্ডার করেছেন। ঠিক সময়ে বিরিয়ানিও এসে হাজির। খাবার পরিবেশন করতে গিয়ে দেখলেন, রায়তা দেয়নি। ফ্রিজে যদি দই থেকে থাকে তা হলে শসা, পেঁয়াজ, ধনেপাতা কুচি করে কেটে অল্প গোলমরিচ আর লঙ্কাগুঁড়ো ছড়িয়ে রায়তা বানিয়ে নিতে পারেন।