প্রতীকী ছবি।
সপ্তাহ খানেক হল ডায়েট শুরু করেছেন দিয়া। অফিসে বসে বসে কাজ করে ওজন বে়ড়ে গিয়েছে। জিমে যাওয়ার সময় নেই। খাওয়াদাওয়াতেই রাশ টানতে হয়েছে। কিন্তু ডায়েট শুরুর পরের দিন থেকে একের পর এক নিমন্ত্রণ আসতে শুরু করেছে। ডায়েট করছেন কোনও নিমন্ত্রণই রক্ষা করা হয়নি। ডায়েটের দোহাই দিয়ে এ বার আর বোধহয় কাটানো যাবে না। কারণ, প্রিয় বন্ধুর জন্মদিন। রেস্তরাঁয় হবে জন্মদিনের অনুষ্ঠান। যেতে তো হবেই আর না খেলেও রাগ করবে বন্ধুটি। বিষয়টি নিয়ে তাই বেশ চিন্তিত দিয়া।
ডায়েটে আছেন মানেই রেস্তরাঁর খাবার খাওয়া বন্ধ— দিয়ার মতো অনেকেই এমন ধারণা পোষণ করেন। এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসা জরুরি। রেস্তরাঁয় তেল-মশলাদার খাবার ছাড়াও এমন অনেক পদ রয়েছে, ডায়েট চলাকালীন যেগুলি অনায়াসে খাওয়া যায়। রইল তেমন কয়েকটি খাবারের সন্ধান।
স্যালাড
ডায়েট না করলেও রেস্তরাঁয় গিয়ে অনেকেই স্যালাড অর্ডার করেন। রেস্তরাঁ কিংবা ক্যাফের স্যালাড তো শুধু স্বাস্থ্যকর নয়, সুস্বাদুও হয়। ওজন বে়ড়ে যাওয়ারও ভয় নেই।
ডায়েটে থাকলে ইডলি-দোসা খেতেই পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
রায়তা
সকলে বিরিয়ানি খাচ্ছে। ডায়েট করছেন বলে রেস্তরাঁয় গিয়ে শুধু মুখে বসে থাকবেন, তা তো হয় না। রায়তা অর্ডার করুন। অনেক রেস্তরাঁ বেশ ভাল রায়তা বানায়। বিরিয়ানি বিকল্প রায়তা না হলেও রোগা হওয়ার যুদ্ধে যখন নেমেছেন, তখন এইটুকু ত্যাগ করা যেতেই পারে।
তন্দুরি
ডায়েট করলেও চিকেন তন্দুরি খাওয়ায় কোনও বাধা নেই। মেন কোর্সে কিংবা শেষপাতে কিছু না-ই বা খেলেন। সকলের সঙ্গে আড্ডা দিতে দিতে তন্দুরিতে কামড় বসালে কোনও ভয় নেই। ডায়েটের দফারফা হবে না।
ইডলি-দোসা
ডায়েটে থাকলে এমনিতেই পুষ্টিবিদরা ইডলি, দোসা, বড়া খাওয়ার কথা বলে থাকেন। রেস্তরাঁ না যাওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে বেরিয়ে এসে, বরং এই খাবারগুলি অর্ডার করুন। ডায়েটও বজায় থাকল, আবার রেস্তরাঁতেও যাওয়া হল।
রুটি
বিরিয়ানি, পাস্তা, ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন এবং আরও অনেক দেশি-বিদেশি খাবারের পাশাপাশি রুটিও পাওয়া যায় রেস্তরাঁয়। রুটির সঙ্গে পনির কিংবা ডাল মাখানি নিতে পারেন। সঙ্গে স্যালাড। একেবারে রেস্তরাঁয় যাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার চেয়ে রুটি খাওয়া মন্দ নয়।