প্রতীকী ছবি।
নিজের খেয়াল বেশি রাখা যেন অপরাধ। এখনও নানা জনের নানা কথায় এমনই মনে হয়। তাই ইচ্ছা থাকলেও নিজের পছন্দের খাবার বেছে নেওয়া, নিজের জন্য আলাদা সময় বার করা হয়ে ওঠে না অনেকের। এ দিকে ক্লান্তি বাড়তেই থাকে রোজের ব্যস্ততার মধ্যে। তার প্রভাব গিয়ে পড়ে পরিবারের বাকিদের উপরেও। কখনও কোনও কাজে ভুল হয়, তো কখনও মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়ায় তাঁদের উপরেই বিরক্তি প্রকাশ করেন।
কিন্তু এমন করে না নিজের ভাল থাকা সম্ভব, না অন্যকে দেখে রাখা যায়। তবে পথ একটাই। নিজের যত্নও নিতে হবে। কী ভাবে? অত্যন্ত ব্যস্ত জীবনে আলাদা ভাবে নিজের জন্য সময় বার করা কঠিন। কিন্তু ছোট ছোট কাজ একান্তই নিজের ভাল থাকার জন্য করে দেখা যায়। তাতে মন শান্ত হবে, এ দিকে সময় বা শ্রম বিশেষ যাবে না।
কী করতে পারেন?
১) রোজের রান্না কিংবা বাজার করার সময়ে বাড়ির সকলের পছন্দকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন। তা দেওয়ায় ক্ষতি নেই। তবে নিজের পছন্দের কথাও খেয়াল রাখা যায়। তাতে পরিবারের কারও ক্ষতি হবে না। নিজের মন ভাল থাকতে পারে।
প্রতীকী ছবি।
২) সব ব্যস্ততার মাঝেও নিজের শোয়ার ঘর, কাজের জায়গা মাঝেমাঝে গুছিয়ে নিন। তবে কাজে মন বসবে। বিশ্রামের সময়েও মন ভাল থাকবে। মনে হচ্ছে বাড়ির বাকিদের জন্য সময় কম পড়বে? তা মোটেই নয়। বরং তাঁদের জন্য কাজ করার ইচ্ছা নিজের মধ্যে আরও বাড়তে পারে।
৩) ব্যস্ততার ফাঁকেও কিছুক্ষণ ব্যায়াম করুন। তাতে শরীরচর্চা তো হবেই, আবার কিছুটা সময় একেবারে নিজের জন্য রাখা থাকবে। নিজের ভাল লাগার কথা ভাবতেও পারবেন সে সময়ে।
৪) মাঝেমাঝে একটি দিন সব দায়িত্ব থেকে বিরতি নিন। মনে হতে পারে আপনাকে ছাড়া জলে পড়বেন পরিবারের বাকিরা। কিন্তু তা নাও হতে পারে। বিশ্রামের সেই দিনটিতে শুধু নিজের ভাল লাগার কাজ করুন।