খিচুড়িই জমিয়ে তুলুক বৃষ্টিভেজা রাত। ফাইল চিত্র
কাব্য বললে কাব্য। তবে বাঙালি জিভে খাদ্য ছাড়া কাব্য জমে নাকি? খাদ্য কাব্য। কাব্য খাদ্য। আর বৃষ্টিভেজা রাতে সে কাব্য রচনা হয় খিচুড়ির হাঁড়িতেই। তাই এমন দিনে রান্নায় মন না বসলেও চটজল্দি খিচুড়ি বানিয়ে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। না হলে জমবে নাকি গান-কাব্য!
কী ভাবে বানাবেন খিচুড়ি? ঘরে যা আছে, তা দিয়েই। এর জন্য মাথা ঘামাতে বিশেষ হয় না। তবে যত্ন চাই। খিচুড়ি নামের মতো মোটেও নয় রান্নার প্রণালী। মাপের উপরে নির্ভর করে এই খাদ্যের স্বাদ। জেনে নিন, কী ভাবে বানাবেন।
উপকরণ:
গোবিন্দভোগ চাল: ২০০ গ্রাম
মুগ ডাল: ১০০ গ্রাম
মুসুর ডাল: ১০০ গ্রাম
আলু: ২টো (বড়)
মটরশুঁটি: আধ কাপ
কাঁচালঙ্কা: ৩টি
শুকনোলঙ্কা: ১টি
হলুদ গুঁড়ো: ১ চা চামচ
চিনি: ৩ চা চামচ
নুন: স্বাদ মতো
গোটা জিরে: ১ চা চামচ
আদা বা়টা: ১ চা চামচ
তেজপাতা: ১টি
ঘি: ২ টেবিল চামচ
প্রণালী:
একটি কড়াইয়ে মুগ ডাল ভাল করে ভেজে নিন। মুসুর ডাল আর চাল ভাল ভাবে ধুয়ে নিয়ে কড়াইয়ে দিন। নামিয়ে আলাদা পাত্রে রাখুন। এবার কড়াইয়ে এক চামচ ঘি দিয়ে তাতে জিরে, কাঁচালঙ্কা, তেজপাতা, আদাবাটা, আর শুকনোলঙ্কা দিন। আলু দু’টো টুকরো টুকরো করে কেটে কড়াইয়ে দিয়ে সাঁতলে নিন। তার পরে চাল-ডাল দিয়ে দিন। মাপ মতো জল দিন। দিয়ে দিন হলুদ গুঁড়োও। এবার ভাল ভাবে নাড়তে হবে মাঝেমাঝেই। যাতে পাত্রের সঙ্গে লেগে না যায়। চাল-ডাল-আলু খানিকটা সিদ্ধ হয়ে এলে উপর দিয়ে নুন-চিনি দিন। কড়াশুঁটিও ছেড়ে দিন জলের মধ্যে। আরও কিছুক্ষণ ফুটতে দিতে হবে। সব সামগ্রী সমান ভাবে সেদ্ধ হলে নামানোর আগে একচামচ ঘি ছড়িয়ে দিন।
নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।