কৃমির কারণে পেটে ব্যথা হতে পারে ছবি: সংগৃহীত
বহু শিশুই কৃমির সমস্যায় কষ্ট পায়। তবে বয়স বাড়লে যে এই সমস্যা কমে যাবে— এমন কথাও জোর দিয়ে বলা যায় না। বহু প্রাপ্তবয়স্কই কৃমির সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা কমানোর জন্য অনেক ওষুধ পাওয়া যায়। কিন্তু অনেকেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ে কৃমি তাড়ানোর ওষুধ খেতে চান না। তবে ওষুধ না খেয়েও কৃমি তাড়ানো যায়। সেটিও মাত্র এক সপ্তাহেই। হাতের কাছে থাকা কয়েকটি ঘরোয়া জিনিসেই তা সম্ভব।
খুব সহজে ঘরোয়া উপায়ে কৃমি তাড়াবেন কী করে? রইল তালিকা।
• লবঙ্গ: এক কাপ জলে তিন-চারটে লবঙ্গ ফুটিয়ে নিন। সেই জল সারা দিন অল্প অল্প করে খান। লবঙ্গ সিদ্ধ করা জল শুধু কৃমি নয়, মারবে কৃমির ডিমও।
• নিমপাতা: কয়েকটি নিমপাতা বেটে ফ্রিজে রেখে দিন। এমন পাত্রে রাখবেন, যার মধ্যে সহজে বাতাস ঢুকতে পারে না। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গরম জলে এক চামচ নিমপাতা বাটা মিশিয়ে নিন। সেটি খেয়ে ফেলুন। কৃমির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
• কুমড়োর বীজ: কৃমি তাড়ানোর অব্যর্থ ওষুধ। প্রথমে কয়েকটি কুমড়োর বীজকে হাল্কা করে ভেজে গুঁড়িয়ে নিন। এ বার এক কাপ নারকেলের দুধের সঙ্গে সম পরিমাণ জল মেশান। এর মধ্যে ভাজা কুমড়ো বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। সকালে খালি পেটে এটি খেয়ে নিন। এক সপ্তাহে কৃমির সমস্যা কমবে।
• মধু ও পেঁপে: কৃমি তাড়ানোর আরও এক অব্যর্থ ওষুধ। এক গ্লাস গরম দুধে এক চামচ মধু আর এক চামচ কাঁচা পেঁপে কুচি মিশিয়ে নিন। সকালবেলা খালি পেটে এটি খেয়ে ফেলুন। এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই কৃমির সমস্যা কমে যাবে।