টলিপাড়ায় ‘ফিটনেস ফ্রিক’ হিসাবে বেশ জনপ্রিয় বিক্রম। ছবি- সংগৃহীত
পুজো প্রায় চলে এসেছে। মাঝে আর কয়েকটি দিন। ইতিমধ্যে অনেকেই উৎসবের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছেন। নতুন পোশাক কেনা, ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি শরীরের মেদ ঝরানোর চেষ্টাও চলছে। সাধারণ মানুষ থেকে তারকা, কেউই পিছিয়ে নেই সেই তালিকায়। পুজোর আগে তাই টলিউড অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের ফিটনেস রুটিন জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে।
টলিপাড়ায় ‘ফিটনেস ফ্রিক’ হিসাবে বেশ জনপ্রিয় বিক্রম। অথচ নিজে সে কথা মানতে চান না অভিনেতা। পেশাগত কারণে যতটা ফিট থাকা জরুরি, ততটাই যথেষ্ট বলে মনে করেন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত পরিশ্রমে তিনি বিশ্বাসী নন।
রোজ ৪ ঘণ্টা করে শরীরচর্চা করেন বিক্রম। ছবি- সংগৃহীত
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাওয়াদাওয়ায় সারা বছর ধরেই বেশ কিছু বিধি-নিষেধ মেনে চলেন অভিনেতা। কঠোর ডায়েট বিক্রম কখনওই করতেন না। যতটা সম্ভব কম কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার চেষ্টা করেন। তুলনায় প্রোটিন বেশি করে খান। বিক্রমের রোজের খাবারে চিনি থাকে না। তবে চায়ে মাঝেমাঝে চিনি মিশিয়ে নেন বিক্রম। চিনি ছাড়া চা তাঁর না-পসন্দ। পাশাপাশি, রোজ চার ঘণ্টা করে শরীরচর্চা করেন। তবে চরিত্রের প্রয়োজনে যদি ওজন কমানোর দরকার হয়, চেষ্টার ঘাটতি রাখেন না। দিন-রাত এক করে নিজেকে সেই চরিত্র অনুযায়ী গড়ে তোলেন।
এ তো গেল বিক্রমের রোজের রুটিন। কিন্তু পুজোর আগে কি বিশেষ কিছু করছেন অভিনেতা? এ প্রসঙ্গে বিক্রম বললেন, ‘‘বেশ কয়েক বছর হয়ে গেল, আমি পুজোয় কলকাতায় থাকি না। এ বারও পাহাড়ে যাচ্ছি। তবে কলকাতায় থাকলেও যে অন্য রকম কিছু করতাম, এমন নয়। সারা বছরই যেহেতু নিয়ম মেনে চলতে হয়, ফলে পুজোর আগে আলাদা করে আর কিছু দরকার পড়ে না।’’
পুজোর আগে রোগা হতে চান অনেকেই। কিন্তু মাস খানেকের মধ্যে ওজন কমানোর এই ভাবনা স্বাস্থ্যকর নয় বলেই মনে করেন বিক্রম। অভিনেতার কথায়, ‘‘সারা বছর যদি কিছু নিয়ম মেনে চলা যায়, তা হলে পুজোর আগে এত কিছু করতেই হয় না। এই ভাবে তাড়াহুড়ো করে রোগা হওয়ার চেষ্টা না করাই ভাল। সমস্যা হতে পারে। সত্যিই ওজন কমাতে চাইলে, নিজে ডায়েট রুটিন ঠিক না করে, এক জন পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া যেতে পারে। তাতে গোটা বিষয়টি অনেক সহজ হবে।’’