বাড়িঘর পরিষ্কার করা, ঝুল ঝাড়া, জামাকাপড় গুছিয়ে ফেলার মতো কিছু কাজও সেরে রাখা জরুরি। প্রতীকী ছবি।
পুজোর ঢাকে কাঠি পড়তে আর কয়েক দিনের প্রতীক্ষা। মা দুর্গার আবাহনের প্রস্তুতিও তুঙ্গে। পুজোর আলোয় সেজে উঠছে অলি-গলি, রাস্তাঘাট। চলছে কেনাকাটা, উপহার বিনিময়ের পালা। ষষ্ঠী থেকে দশমী— কোন দিন কী পোশাক পরলে নজর কাড়তে পারতে পারবেন, তা মাথা খাটিয়ে বার করতে হচ্ছে। শুধু তো পোশাক হলেই হল না। সেই সঙ্গে মানানসই গয়না, জুতো, ব্যাগ বাছারও পালা চলছে। সবই অবশ্য করতে হচ্ছে অফিস এবং কাজ বাঁচিয়ে।
পুজো আসতে বাকি আর ২৪ দিন। তার মানে পুজোর আগে আর দু’টি সপ্তাহান্ত। পুজো উপলক্ষে কেনাকাটা, উপহার দেওয়া, রূপচর্চা, ওজন কমানো তো আছেই। এগুলি ছাড়াও এ সময়ে আরও অনেক কাজ থাকে। বাড়িঘর পরিষ্কার করা, ঝুল ঝাড়া, জামাকাপড় গুছিয়ে ফেলার মতো কিছু কাজও সেরে রাখা জরুরি। একটু পরিকল্পনা করে করলে পুজোর সময় সুবিধা হবে আপনারই। আগামী দু’টি সপ্তাহান্তে কোন দিন কী কাজ সারবেন, এর মধ্যে তা ঠিক করে রাখুন।
পুজোর আগে কোন কাজে মন দিতে হবে?
১) পুজোয় নতুন করে সেজে উঠুক ঘরের প্রতিটি কোণ। নতুন জামাকাপড় কেনার পাশাপাশি বিছানার চাদর, দরজা-জানলার পর্দাতেও থাকুক উৎসবের সাজ। সামনের ছুটির দিনে তাই মনে করেন কিনে ফেলুন সেগুলি। ঝক্কি অনেকটা কমবে।
আগামী দু’টি সপ্তাহান্তে কোন দিন কী কাজ সারবেন, এর মধ্যে তা ঠিক করে রাখুন। প্রতীকী ছবি।
২) ঠাকুরের সিংহাসনটা পরিষ্কার করে নিন। অনেকেই পুজোতে ঠাকুরকে নতুন পোশাক পরান। সেগুলি কেনা না থাকলে কিনে নিতে পারেন। কাজ অনেকটা এগিয়ে থাকবে।
৩) ভিড়ভাট্টা অনেকেই পছন্দ করেন না। পুজোর প্যান্ডেলে ঘোরার চেয়ে অেকেই ঘরে বসে পুজোবার্ষিকী পড়তে পছন্দ করেন। আপনার পছন্দ যদি তেমন হয়, তবে এর মধ্যে পুজোসংখ্যাগুলি কিনে ফেলতে পারেন। পুজোর বাজারের হইচইয়ের মধ্যে অনেক সময়ে মনে থাকে না। কিন্তু পরে মন খারাপ হবে।
৪) অনেকেই অষ্টমীর পুজো ঠাকুরকে নতুন থালায় দেন। এই ছুটিতে ভিড় বাঁচিয়ে ঠাকুরের নতুন কিছু বাসন কিনে নিতে পারেন। পুজো মানেই বাড়িতে অতিথির আনাগোনা। ফলে বাড়তি কিছু থালা-বাসন লাগবেই। ঠাকুরের বাসন কিনতে গিয়ে নিজের হেঁশেলের জন্যও নতুন কিছু কিনে আনতে পারেন। পুজোয় যে ক’বেলা বাড়িতে খাবেন, নতুন বাসনগুলি ব্যবহার করবেন।
৫) পুজোর আগে বাড়িঘর পরিষ্কার সবচেয়ে বড় কাজ। বাড়িঘর সাফাই এক-দু’দিনের কাজ নয়। বড় বাড়ি হলে তো আরও সমস্যা। তাই এ সপ্তাহ থেকেই বাড়িঘর পরিষ্কারের কাজে হাত দিন। দেরি করে শুরু করলে পরে তল পাবেন না।