Kids Health Risk

শিশু কাঁদলেই হাতে তুলে দিচ্ছেন প্লাস্টিকের খেলনা? অজান্তেই ডেকে আনছেন বিপদ

প্লাস্টিকের খেলনা শিশুর স্বাস্থ্যের ঝুঁকির কারণ হতে পারে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা তেমনটাই দাবি করছে। স্থূলতা, অ্যাজমার মতো বেশ কয়েকটি অসুস্থতার শিকার হতে পারে খুদে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:২৩
Share:
বাড়িতে শিশু থাকলে এমন কয়েকটি ছবি প্রায়ই দেখা যায়।

বাড়িতে শিশু থাকলে এমন কয়েকটি ছবি প্রায়ই দেখা যায়। ছবি-প্রতীকী

বাড়িতে ছোট শিশু আছে। অফিস থেকে ফেরার সময়ে একরত্তির জন্য নানা ধরনের প্লাস্টিকের খেলনা কিনে আনছেন। শিশুও সেই খেলনা দেখে আনন্দে আত্মহারা। সারা ক্ষণ ওই খেলনাগুলি নিয়েই রয়েছে সে।

Advertisement

কিছুতেই খেতে চাইছে না খুদে। শিশুকে ভোলাতে তার হাতে ধরিয়ে দিলেন প্লাস্টিকের খেলনা গাড়ি। খেলতে খেলতে সেই গাড়ি মুখে দিচ্ছে একরত্তি। বাড়িতে শিশু থাকলে এমন কয়েকটি ছবি প্রায়ই দেখা যায়। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা বলছে, প্লাস্টিকের এই খেলনা আপনার সন্তানের স্বাস্থ্যের ঝুঁকির কারণ হতে পারে।

খেলনা হাতে পাওয়া মাত্রে তা সকলের আগে মুখে দেয় শিশু।

খেলনা হাতে পাওয়া মাত্রে তা সকলের আগে মুখে দেয় শিশু। ছবি- প্রতীকী

আমেরিকার প্লাইমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা প্লাস্টিকের খেলনা নিয়ে একটি গবেষণা করেছেন। গবেষকরা জানাচ্ছেন, প্লাস্টিক মাত্রেই তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। প্লাস্টিকের খেলনায় গবেষকরা অ্যান্টিমনি, বেরিয়াম, ব্রোমিন, ক্যাডমিয়াম, সিসার, সেলেনিয়াম-সহ বিভিন্ন বিপজ্জনক রাসায়নিক উপাদানের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। যা শিশুর শরীরে দীর্ঘস্থায়ী কোনও ক্ষতির কারণ হতে পারে। খেলনা হাতে পাওয়া মাত্রে তা সকলের আগে মুখে দেয় শিশু। খেলনায় থাকা ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদানগুলি লালার মাধ্যমে শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে।

Advertisement

অধিকাংশ প্লাস্টিকের খেলনা তৈরির প্রধান উপকরণ হিসাবে ব্যবহৃত হয় ফ্যাথালেটস। প্লাস্টিক নরম করে তুলতে এই উপাদানটি ব্যবহার করা হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই রাসায়নিক অ্যাজমার কারণ হতে পারে। এ ছাড়া পরবর্তী কালে স্থূলতার সমস্যাও ডেকে আনতে পারে। শুধু খেলনা নয়, প্লাস্টিকের ফিডিং বোতল ব্যবহারেও শিশুর জন্য ক্ষতিকর। এ ছাড়াও এই প্লাস্টিকের খেলনা সামগ্রীতে টক্সিনের পরিমাণ প্রায় ৮৪ শতাংশ। এই বিপজ্জনক টক্সিন শিশুর বেড়ে ওঠা, বিকাশ এমনকি পরবর্তী কালে প্রজনন ক্ষমতাকেও ব্যহত করতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement