বাড়তি ওজন ডেকে আনে নানা অসুখকে। ছবি:শাটারস্টক
সারা রাত জল ছাড়া কাটানোর পর সকালে অনেকটা জল চায় শরীর। সকালের প্রথম জলে শরীরের কোষে কোষে যেমন জল পৌঁছয়, তেমনই সেই জল দিয়েই বিপাকক্রিয়ার যাবতীয় টক্সিন দূর করতে চায় শরীর।
সকালে শরীরের ভিতরটা উষ্ণ থাকে। তাই তাপমাত্রার ভারসাম্য রাখতে সকালের প্রথম জলের তাপমাত্রাও সামান্য উষ্ণ রাখাই ভাল। টক্সিন দূর করতেও বিশেষ কাজে আসে এই ঈষদুষ্ণ জল।
তবে সকালের প্রথম পানীয়র সঙ্গে ওজনেরও অনেক সম্পর্ক আছে। দিনের প্রথম ডায়েট হিসেবে শরীরকে দিতেই পারেন ওজন বশে রাখার পানীয়। বিপাকহার বাড়িয়ে তোলাও ওজন কমানোর একটি উপায়। তাই শুধু জল না খেয়ে সকালের প্রথম পানীয়ের তালিকায় যোগ করুন এ সব।
আরও পড়ুন: কী করে বুঝবেন রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে গিয়েছে? বিপদ সামলাবেন কেমন করে?
লেবু জল: এক গ্লাস উষ্ণ জলে গোটা একটি লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে নিন সাতসকালেই। এই পানীয় শুধু সকালের নয়, দিনের মধ্যে তিন-চার বার খেতে পারেন। গরম জলে লেবু মেশানোর কারণে অ্যাসিডিটি তো হয়ই না, উল্টে শরীরের জমে থাকা টক্সিন এতে দূর হয় সহজে। এ ছাড়া লেবুর জল গোটা হজম প্রক্রিয়াকে ক্ষারীয় করে তোলে, তাই খাবার হজম করতে এতটুকু বেগ পেতে হয় না।
জিরের জল: এক গ্লাস জলে এক চা চামচ সাদা জিরে ভিজিয়ে রাখুন। সারা রাত ভিজিয়ে রাখার পর সকালে সেই জলটা ছেঁকে ফুটিয়ে নিন। এ বার তাতে সামান্য লেবু যোগ করে ঈষদুষ্ণ অবস্থায় খেয়ে নিন তা। জিরের মধ্যে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকায় তা হজমে সাহায্য করে। শরীর থেকে বাড়তি টক্সিন বার করে বিপাক ক্রিয়ার হারও বাড়ায় জিরে।
আরও পড়ুন: সন্তানের জন্মগত স্নায়ুর অসুখ দূরে সরাতে মেনে চলুন সহজ এই উপায়
আমলকী-অ্যালো ভেরা জ্যুস: আমলকি ছোট ছোট আকারে কেটে অল্প জল মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এতে এক চা চামচ অ্যালো ভেরার রস মিশিয়ে ছেঁকে পান করুন। এতে মেটাবলিজ়ম বাড়ে। ওজন থাকে বশে।
গ্রিন টি: গ্রিন টি-র সঙ্গে পুদিনা পাতা যোগ করে তা ফুটিয়ে নিন ভাল করে। এতে লেবুর রস যোগ করে পান করুন। গ্রিন টি যেমন মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন কমাতো সাহায্য করে, তেমনই পুদিনার সঙ্গে যোগ করে খেলে হজমপ্রক্রিয়াও ভাল থাকে।