ত্বকের যৌবন ধরে রাখতে চাইলে গাধার দুধ হতে পারে সবচেয়ে বড় অস্ত্র।
রূপকথার পাতা উল্টেছেন অথচ দুধস্নানের প্রসঙ্গ পাননি এমন হয়েছে কি? প্রাচীনকালে সাজ-শৃঙ্গারের আগে দুধ দিয়ে রূপচর্চা করার চল ছিল। সে যে কেবলই এদেশে, তেমন কিন্তু নয়। সুদূর মিশরের রানি ক্লিওপেট্রার কথা ভোলেননি নিশ্চয়ই! সৌন্দর্যের সংজ্ঞায় আজও তিনি প্রথমা। জানেন কি ক্লিওপেট্রা নিজের ত্বকের যত্ন নিতে রোজ গাধার দুধ দিয়ে স্নান করতেন? হালে রূপচর্চায় গরুর দুধ জনপ্রিয় হয়েছে। তবে তা কখনওই গাধার দুধের বিকল্প হতে পারবে না। কারণ এতে গরুর দুধের চেয়ে চারগুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে।
প্রাচীনকালে সাজ-শৃঙ্গারের আগে দুধ দিয়ে রূপচর্চা করার চল ছিল।
কেন ত্বকে মাখবেন গাধার দুধ?
১) ত্বকের যৌবন ধরে রাখতে চাইলে গাধার দুধ হতে পারে সবচেয়ে বড় অস্ত্র। এতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বকের বলিরেখা কমিয়ে ত্বককে নতুন প্রাণ দেয়। ত্বকে কোনও জ্বালা ভাব বা লালচে দাগও কমাতে পারে গাধার দুধে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকিটিরিয়াল উপাদান।
২) গাধার দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ১, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন সি, ওমেগা থ্রি ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। ত্বকের যত্নে এই প্রতিটি পুষ্টি উপাদানের ভূমিকাই গুরুত্বপূর্ণ।
৩) ত্বক ভাল রাখতে ভিটামিন ডি-ও প্রয়োজন। আর সেই ভিটামিন ডি-র জন্য সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসতে হয়। তবে সংবেদনশীল ত্বক হলে এতে সমস্যা বাড়ে। তাই ভিটামিন ডি-র প্রাকৃতিক উৎস হিসাবে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন গাধার দুধ। এই দুধ ত্বককে উজ্জ্বল করে।
৪) ত্বককে আর্দ্র রাখতে ময়শ্চরাইজার ব্যবহার করার দরকার হয়। তবে গাধার দুধ নিজেই খুব ভাল ময়শ্চরাইজার। নিয়মিত গাধার দুধ মাখলে ত্বক হয়ে ওঠে নরম ও আর্দ্র।