অস্ত্রোপচারের পর আপাতত সুস্থ আছেন তিনি। প্রতীকী ছবি।
মত্ত অবস্থায় নিজেই মলদ্বারে গ্লাস ঢুকিয়েছিলেন। প্রথমে কোনও সমস্যা হচ্ছিল না। কিন্তু ৩ দিন পর প্রচণ্ড ব্যথায় কুঁকড়ে গিয়েছিলেন। তাই শরীর থেকে গ্লাস বার করার জন্য নিজেই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়ে চিকিৎসকের কাছে অস্ত্রোপচারের আর্জি জানালেন নেপালের বাসিন্দা ৪৭ বছর বয়সি এক ব্যক্তি। অস্ত্রোপচারের পর আপাতত সুস্থ আছেন তিনি।
ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, কয়েক দিন আগে মত্ত অবস্থায় ঘটনাটি ঘটে। মদ্যপান করে হুঁশ ছিল না তাঁর। যে গ্লাসে মদ্যপান করেছিলেন, সেটাই মলদ্বারে ঢুকিয়ে দেন তিনি। তিনি নিজেই স্বীকার করছেন, যৌনতৃপ্তি মেটাতেই মূলত এমন করেছিলেন তিনি। এই কাজটি করার পর তার তেমন কিছু মনে হয়নি। নেশা কেটে যাওয়ার পরও যন্ত্রণা অনুভব করেছিলেন, এমন নয়। রক্তপাতও হয়নি। তবে তিনি মলত্যাগ করতে পারছিলেন না। উপায় না দেখে নিজেই গ্লাসটি বার করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ব্যর্থ হন।
তাই শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন তিনি। তবে চিকিৎসকরাও প্রথমে গ্লাসের আসল অবস্থান বুঝতে পারেননি। তাই ‘ল্যাপারোটমি’ পরীক্ষা করেন। তার পরেই চিকিৎসকরা দেখতে পান, মলদ্বারের একেবারে ভিতরে চলে গিয়েছে গ্লাস। এবং গ্লাসটি পুরো উল্টে গিয়েছে। আর বেশি ক্ষণ এ ভাবে থাকলে প্রাণসংশয় হতে পারত। তাই ‘সিগমায়েড এন্টারোস’ করে তার পরে শরীর থেকে বার করা হয় কাচের গ্লাস। অস্ত্রোপচারের পর সাত দিন হাসপাতালে ছিলেন। চূড়ান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁকে সুস্থ বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।