গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
করোনা থেকে সেরে ওঠার পরে নানা ধরনের অসুস্থতা দেখা দিতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই মিউকরমাইকোসিস (ব্ল্যাক ফাঙ্গাস) ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অনেকের ডায়াবিটিসের সমস্যা হচ্ছে, কারও বা ফুসফুসু-হার্টের অসুখও দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি আরও এক কঠিক রোগের কথা চোখে পড়েছে এ দেশের চিকিৎসকেদের। তা ঘিরেই দেখা দিয়েছে চিন্তা।
বেশ কেয়কটি ক্ষেত্রে অ্যাভাসক্যুলার নেকরোসিসে (এভিএন) ভুগতে দেখা যাচ্ছে করোনা থেকে সেরে ওঠার পরে। এভিএন হল হাড়ের অসুখ। এতে হাড়ের টিস্যু মরে যায় বা শুকিয়ে যায়। বিশেষ করে থাই বা কোমর অঞ্চলের অসুখ। যদিও এখন বিষয়টি বোঝার চেষ্টা চলছে। তবে একে করোনার প্রভাব বলেই ধরে নিচ্ছেন বেশির ভাগ চিকিৎসকেরা।
কী এই এভিএন? এখনও পর্যন্ত কী জানা যাচ্ছে এই অসুখ সম্পর্কে?
এই অসুখ দেখা দিচ্ছে করোনা থেকে সেরে ওঠার বেশ কয়েক মাস পরে। এখনও পর্যন্ত দেশে যে ক’জনের এই রোগ ধরা পড়েছে, তাঁদের বেশির ভাগের বয়সই ৪০-এর নীচে। কোমরে এবং পায়ে অতিরিক্ত ব্যথা নিয়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা সকলেই।
ঠিক কী ঘটে এই অসুখে?
কোমর ও পায়ের হাড়ে রক্তচলাচল কমে যায়। এর জেরে সে শরীরের সে সব জায়গায় টিস্যু মরে যেতে শুরু করে। তার থেকেই নেক্রোসিস হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোমরের হাড়ে এমন ঘটেছে বলে দেখা যাচ্ছে। তবে এই অসুখ হতে পারে যে কোনও হাড়েই।
প্রতীকী ছবি।
এর উপসর্গ কী?
এই অসুখের শুরুর দিকে বিশেষ কোনও উপসর্গ দেখা দেয় না। হাড় মরে যেতে শুরু করে ধীরে ধীরে। পরে তার থেকে অসহ্য যন্ত্রণা হতে পারে। অনেকেরই ভারী জিনিস তুলতে এবং চলাফেরা করতে বিশেষ ভাবে সমস্যা দেখা দেয়।
করোনার সঙ্গে এই অসুখের যোগ কোথায়?
এখনও বিষয়টি নিয়ে গবেষণা চলছে। তবে চিকিৎসকেদের বক্তব্য, করোনা সংক্রমিতদের বেশি মাত্রায় স্টেরয়েড দেওয়ার জেরে এমন অসুখ হয়ে থাকতে পারে।
আগেও এভিএন অসুখটি ধরা হতো অতিরিক্ত মাত্রা একটি স্টেরয়েড ব্যবহারের ফল হিসাবেই। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের থেকে মিউকরমাইকোসিস হওয়ার ক্ষেত্রেও স্টেরয়েডের ভূমিকা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই অসুখের কারণ জানতেও চলছে গবেষণা।