কটন বল থাকলে অনেকগুলো সমস্যার সমাধান হবে এক নিমেষেই। ছবি: শাটারস্টক।
ছোট তুলোর বল, আর তাতেই মিটবে সমস্যা। করোনা আবহে এমনিতেই মানসিক অস্থিরতা বেড়েছে। গুছিয়ে কাজ করতেও মন বসছে না। সমস্যা বাড়ছে বই কমছে না। এর মধ্যে ছোট ছোট কিছু সমস্যা প্রায়ই মুশকিলে ফেলছে। যেমন ধরুন নিয়মিত ভাবে ঘর পরিষ্কার করা কিংবা বাইরে বেরলেই ঘেমে যাওয়া। এই সবেরই সমাধান রয়েছে কটন বলে।
আপনি কি জানেন, আপনার পারফিউম বোতলের পরিবর্তে স্রেফ একটি কটন বলই যথেষ্ট। বাড়ি থেকে বেরনোর সময় পারফিউমের শিশি নিয়ে আসা মানে সেটিও স্যানিটাইজ করতে হবে। তার চেয়ে বরং একটা কটন বলে পারফিউম নিয়ে সেটি জিপার ব্যাগের মধ্যে রেখে দিন। খুব গরম লাগলে কিংবা ক্লান্ত লাগলে কটন বলের পারফিউম লাগিয়ে নিলে দেখবেন দিব্যি তরতাজা লাগছে।
বাড়ির বিভিন্ন কোণে কটন বলের মধ্যে রুম ফ্রেশনার লাগিয়ে রেখে দিলে মন ভাল হবে। বর্ষাকালে পিঁপড়ের সমস্যাও হয়। কটন বলে হলুদ গুঁড়ো লাগিয়ে রাখলে পিঁপড়ের সমস্যা কমে। এ ছাড়াও কটন বলে ফিনাইল দিয়ে সেগুলি রান্নাঘর এবং ঘরের কোণে রেখে দিলে সেগুলি জীবাণুনাশকের কাজ করবে।
আরও পড়ুন: জ্বর হলেই করোনার ভয়? বাড়িতে রাখতেই হবে এই সব মেডিক্যাল কিট
করোনা সংক্রমণ এড়াতে পায়ের যত্ন নিতে বলছেন চিকিৎসকরা। অনেক সময় পায়ে কড়ার দাগ থাকে কিংবা ফোসকা পড়ে যায়। ব্যান্ডেজ লাগানো যাচ্ছে না হয়তো। সে ক্ষেত্রেকটন বলই সুরক্ষা দিতে পারে। কটন বলে কোনও অ্যান্টিসেপটিক লাগিয়ে সেটি আঙুলের খাঁজে দিয়ে জুতো পরলে ব্যথাও কম লাগে।
বর্ষাকালে আলমারিতে রাখা জামাকাপড় থেকে অনেক সময় একটা ভ্যাপসা গন্ধ বেরোয়। সেখান থেকেও মুক্তি মিলবে কটন বল থাকলেই। বাড়িতে ভ্যানিলা এসেন্স থাকলে কটন বলে তা দিয়ে আলমারির প্রতিটি কোণে রেখে দিন। দেখবেন, আলমারি খুললেই বিরক্তি ভাবটা এক্কেবারে কমে গিয়েছে।
মাস্কে ঢাকা মুখ। মেক-আপের বালাই নেই। তবু যদি ইচ্ছে করে কখনও? বাইরে বেরলে কটন বলের মধ্যে আলাদা আলাদা করে মেক আপ, ব্রোঞ্জার ব্লাশ লাগিয়ে একটা জিপ ব্যাগে ভরে বেরিয়ে পড়ুন। চাইলে হাত স্যানিটাইজ করে টাচ আপ করে নিন ওই কটন বলের মেক-আপটুকু দিয়েই।
গয়না, বিশেষ করে ছোট দুল বা নাকছাবিরক্ষেত্রে বাক্সে রাখার সময়ও অতিরিক্ত সতর্কতা নিতে হয়। সেক্ষেত্রে বাক্সে রাখার আগে একটি কটন বলে নাকছাবিটিকে মুড়ে রেখে দিন। হারানোর আশঙ্কাও থাকবে না।
আরও পড়ুন: রেমডেসিভির থেকে ফ্ল্যাভিপিরাভির…করোনা চিকিৎসায় দিশা দেখাচ্ছে এ সব ওষুধ
করোনা আবহে একটি জরুরি জিনিস হল গ্লাভস। তবে বাজারচলতি অনেক গ্লাভসেরই আয়ু বেশি দিন নয়।আঙুলের কাছটা ছিঁড়ে যায়। অনেক সময় নখ লেগেও ছিঁড়ে যায়। সেক্ষেত্রে গ্লাভসের আঙুলের অংশে কটন বল ব্যবহার করতে পারেন। কুশনের কাজ করবে এটি।
জামায় কালি লেগে গিয়েছে কিংবা মশা মারতে গেলেন মশার গা থেকে রক্তের দাগ লাগল সাদা কুর্তিটায়? এতেও কাজে আসবে সেই কটন বল। একটু অ্যালকোহল কটন বলে নিয়েজায়গাটায় ঘষলেই উধাও হবে দাগ।
বাজারে বা অনলাইন কটন বল কিনতে পাওয়া যায়। এ ছাড়াও কটন বান্ডিল থেকেও বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে হাত যেন স্যানিটাইজ করা থাকে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।