প্রতীকী ছবি।
চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে চুলকে পুষ্টি দেওয়াটা জরুরি। তার জন্য চুলে তেল মাখারও দরকার আছে। হালে শ্যাম্পু বা কন্ডিশনিং করতে যতখানি আগ্রহ দেখা যায়, চুলে তেল মালিশ করতে ততখানি দেখা যায় না। নাক কুঁচকে হয়তো ভাবছেন যে তেল মালিশ করলে চুল কেমন আঠা-আঠা হয়ে যাবে। তেল মালিশ করার পর শ্যাম্পু করার ঝক্কিটা একটু বেশি বলেই অনেকে এটা এড়িয়ে যান। কিন্তু ধরুন আপনার চুলের ডগা ফেটে যাচ্ছে বা চুল ঠিকমতো বাড়ছে না, তার জন্য চুলে তেল মালিশের কোনও বিকল্প নেই। বাজারচলতি তেল না কিনে অনায়াসে বাড়িতেই বানান এই সব তেল। চুলের ডগা ফাটার মতো সমস্যা কমিয়ে দ্রুত চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে এই ঘরোয়া তেল।
জবার তেল ফাইল চিত্র
জবার তেল
জবাতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক।
কী ভাবে বানাবেন:
১/২ কাপ জবা গাছের পাতা ও ২টি জবা ফুল নিন। ভাল করে ঠান্ডা জলে ধুয়ে গ্যাসের আঁচে শুকিয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে ১/৪ কাপ নারকেল তেল, ১/৪ কাপ আমন্ড অয়েল, শুকিয়ে রাখা জবা পাতা ও জবা ফুল মিশিয়ে হালকা আঁচে মিনিট পাঁচেক গরম করুন। ঠান্ডা হয়ে গেলে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে শিশিতে ভরে নিন।
পেঁয়াজের তেল ফাইল চিত্র
পেঁয়াজের তেল
পেঁয়াজে রয়েছে সালফার জাতীয় উপাদান, যা চুলের টাক পড়া কমায়, নতুন চুল গজাতেও সহায়তা করে। চুলের বৃদ্ধিতে পেঁয়াজের ভূমিকা অপরিসীম।
কী ভাবে বানাবেন:
ছোট দেখে একটা পেঁয়াজ ভাল করে কুচিয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে ৬ টেবিল চামচ নারকেল তেল, ২ কোয়া রসুন ও পেঁয়াজকুচি দিয়ে গরম করুন। বুদবুদের মতো উঠলে আঁচ বন্ধ করে ঠান্ডা করতে দিন। এবার কয়েকফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল ছড়িয়ে শিশিতে ভরে নিন।
অ্যালোভেরার তেল ফাইল চিত্র
অ্যালোভেরার তেল
চুলের যত্নে অ্যালোভেরা খুবই উপকারী। নিয়মিত অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে চুল শক্তিশালী হয়।
কী ভাবে বানাবেন:
অ্যালোভেরার পাতা কেটে জেল বের করে নিন। ১/২ কাপ অ্যালোভেরা জেল আর ১/২ কাপ নারকেল তেল মিশিয়ে নিয়ে হালকা আঁচে মিনিট পাঁচেক গরম করতে দিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে কয়েকফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে শিশিতে ঢেলে রাখুন।