নীতা অম্বানী। ছবি: সংগৃহীত।
শাশুড়ি আগেই হয়েছেন নীতা অম্বানীর। প্রথমে বড় ছেলে আকাশের বিয়ে দিয়ে বৌমা শ্লোকাকে ঘরে এনেছেন। মেয়েকে ইশাকে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়েছেন। জামাই এসেছে ঘরে। এ বার ছোট ছেলে অনন্তের বিয়েতে কোমর বেঁধে নেমেছেন নীতা। বিয়ের নিয়মকানুন পালন থেকে নাচ-গান— সবেতেই নীতার সক্রিয় উপস্থিতি চোখে পড়ছে। বিশেষ করে ষাটোর্ধ্ব নীতার সাজগোজ, মেদহীন গড়ন ছাপিয়ে যাচ্ছে সব কিছুকে। পাথরের ঠাসা কাজের ভারী লেহঙ্গা পরে দিব্যি নাচে-গানে মঞ্চ মাতাচ্ছেন। আবার নিজেকে বহু রত্নের গয়নায় মুড়ে ছেলের বিয়ের নিয়মকানুনে অংশ নিচ্ছেন। নীতার ফিটনেস তাই আলাদা করে চোখে পড়ছে।
মুকেশ-ঘরনি স্বাস্থ্য সচেতন, তা অনেকেই জানেন। কিন্তু কী ভাবে তিনি চেহারায় বয়সের ছাপ আটকালেন, সেটা অজানা। কী ভাবে নিজেকে যত্নে রাখেন নীতা?
খাওয়াদাওয়ার বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক নীতা। নিয়ম মেনে খাবার খান তিনি। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার থাকে তাঁর রোজের ডায়েটে। শরীর সঠিক পরিমাণে পুষ্টি না পেলে বয়স ধরে রাখা সহজ নয়। সেই কারণে পুষ্টির ঘাটতি যাতে না পরে, সে দিকেই নজর তাঁর। নীতার রোজের খাওয়াদাওয়ার রুটির কেমন?
১) নীতা সকাল শুরু করেন লেবু-মধুর জল খেয়ে। এই পানীয় শরীরে জমে থাকা যাবতীয় টক্সিন বাইরে বার করে দেয়। তা ছাড়া লেবুতে থাকা ভিটামিন সি অন্যান্য রোগবালাইয়ের সঙ্গেও লড়াই করে। ফলে সুস্থ থাকা সহজ হয়ে যায়।
২) নিরামিষ খাবার খান নীতা। ফল, শাকসব্জি, ডাল তাঁর প্রিয় খাবার। কারণ এই খাবারগুলিতে রয়েছে প্রয়োজনীয় পুষ্টির উপাদান, যা ওজন ধরে রাখতে সাহায্য করে।
৩) রোজ বিটের রস খান নীতা। বিটে রয়েছে নাইট্রেটস, যা রক্ত সঞ্চালন সচল রাখে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও বিটের জুড়ি মেলা ভার। বিটে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ফলে ভিতর থেকে ফিট থাকতে বিট উপকারী।
৪) বাইরের খাবার খাওয়া তো দূর, ছুঁয়েও দেখেন না নীতা। ডোবা তেলে ভাজা খাবার, মিষ্টি এমনকি প্রক্রিয়াজাত কোনও খাবার জীবন থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছেন নীতা।
৫) নিয়ম করে শরীরচর্চা করেন নীতা। যোগাসন, প্রাণায়াম, ধ্যান রোজ করেন তিনি। তা ছাড়া নিয়মিত যোগাসনের অভ্যাসে শারীরিক ভাবে ফিট থাকা সহজ হয়।